Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শীত সূচের মত বিধছে গায়

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৩৪ পিএম

গত দুই সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো শীত এবং হিমেল হাওয়ার কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জনজীবন কাবু হয়ে পড়েছে। শীত যেন সূচের মত বিধছে গায়। গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে ছিন্নমুল পরিবারগুলো । বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলোর অবস্থা একেবারে কাহিল। পথ শিশু ও ফুটপাতের মানুষজন দিশা হারিয়ে ফেলেছে। কয়েকদিন থেকে সূর্যের আলো দেখা যায়নি দুপুর পর্যন্ত। সে কারণে স্থবির হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কনকনে শীতে কর্মজীবি এবং শ্রর্মজীবি মানুষজন যথানিয়মে কর্মস্থলে যেতে পারছে না। ঘন কুয়াশাযুক্ত আবহাওয়া কৃষক-কৃষাণীদের চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। কৃষকদের ধান শুকানোসহ নানাবিধ কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। উপজেলার তারাপুর বেলকা, হরিপুর, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। শীতের কারণে নানাবিধ রোগব্যধির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রবি ফসল নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। আলুর আবাদ রয়েছে হুমকির মুখে। এছাড়া বোরো বীজতলা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে- ফিরে দেখা গেছে, চরাঞ্চলের জমি-জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে খঁড় কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারন করছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু এবং প্রসূতি মায়েরা অনেক কষ্টে রয়েছেন। খোর্দ্দার চরের বৃদ্ধা রহিমা বেওয়া (৬৫) বলেন, বাবারে শীতের ফোটা গায়ে সূচের মত বিধছে। লাটশালার চরের কৃষক আঃ কাদের বলেন, উত্তরের হাওয়ার সাথে কনকনে ঠান্ডায় কাজকর্ম করতে পারছিনা। শীতে ফুটপাতের পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভির দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অপরদিকে রাতে অধিক শীতের কারণে ৫ হাত সামন পর্যন্ত দেখা না যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। সরকারিভাবে যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, সরকারি ভাবে ৭ হাজার ৩৫০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ