বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ও গোপালগঞ্জ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যক্তিগত সফরে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নিবেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও পারিবারের সদস্যদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে তাঁর সড়কপথে খুলনা আসার কথা রয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন। ঘাট পার হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তাঁর মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করবেন। রাতে তিনি গোপালগঞ্জ ফিরে যাবেন।
শনিবার (৭ জানয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে নবগঠিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নিবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। এরপর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নবগঠিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর রাষ্ট্রীয় নয়। সে কারণে তাঁর সঙ্গে আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মীর সাক্ষাৎ হবে কিনা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিঘলিয়ার নগর ঘাট এলাকায় একটি জমি কেনা ছিল। জমির ওপর পাট গোডাউন ছিল। নেত্রী দীর্ঘদিন সেখানে আসেননি। আমার যতদূর মনে পড়ে ১৯৮২ সালে একবার এসেছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা দেখা করতে পারবেন। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় এসেছিলেন।
সূত্র জানায়, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোটভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এ জমির মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউজ। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নবগঠিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের খুলনা ও গোপালগঞ্জে আগমনকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নেতা কর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রিয় নেত্রীকে বরণ করে নিতে নেতা সব ধরণের কর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।