প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
রাজ-পরীর অভিমান ভেঙ্গেছে। সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক দিনের নাটকীয়তার পর আবার একসঙ্গে হয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি এবং সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা শরীফুল রাজ। বিষয়টি জানিয়েছেন আরেক অভিনেত্রী শিরিন শিলা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন শিলা।
ছবি গুলোতে দেখা গেছে, পরীমনি ও রাজ যুগল শিরিন শিলার সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলছেন। এসময় তাদের পুত্র রাজ্যকেও দেখা গেছে ঐ ছবিতে। বুধবার দিবাগত রাতে শিরিন শিলা পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, অভিনন্দন দোস্ত পরীমনি। সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আবার নতুন করে সুখের সংসার গড়ে তোলার জন্য। যারা পরীমনির সংসারে ভাঙন দেখে খুশি হয়েছিলো তারা বিষ খেয়ে মরে যাও, কারণ যারা মানুষের সুখ দেখতে পারে না তাদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। পরী-রাজ, রাজ্যের জয় হোক।
এরপর পরীমনির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রাজ দুই দিন বাইরে থাকার পর আবার ঘরে ফিরে এসেছে। ৩১ ডিসেম্বর ভোরে সে বাসার বাইরে চলে গিয়েছিল। ৩ তারিখ (জানুয়ারি) আবার ফিরে এসেছে।’
গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে রাজ-পরীর পোস্ট থেকে গুঞ্জন উঠেছিল, ভাঙছে তাদের সংসার। বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, তাদের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এখন পরীমনির কথায় মনে হচ্ছে, আরো দুইদিন আগেই সব মিটমাট করে ফেলেছেন তারা। প্রশ্ন হচ্ছে এই খবরটি কেউ জানলো না কেন? হাসিমুখে পরীমনির উত্তর, ‘এটা সাংবাদিকদের ব্যর্থতা।’
তিনি আরো বলেন, আমি প্রতিদিন রাজের জন্য রান্না করি। ও (রাজ) আমার রান্না ইলিশ মাছ খুব পছন্দ করে। আমরা এখন ভালো আছি। রাজ্য কান্না করছে। পরে এই বিষয়ে কথা বলব।
এর আগে, নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রবিবার ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বিছানা-বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগওয়ালা দুটি ছবি পোস্ট করে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন নায়িকা। তিনি লেখেন-‘শুভ নববর্ষ। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন।’ আর গত রবিবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে আবার পরীমনি তার নতুন স্ট্যাটাসে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।
এদিকে পরীমনির এই চলে যাওয়ার পেছনে গডফাদারের ইন্ধন দেখছেন শরীফুল রাজ। মঙ্গলবার ভোরে শরীফুল রাজ একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে লিখেছেন, ‘হ্যালো গডফাদারস অ্যান্ড গং। আই ওয়ান্ট টু নো ইউ গাইজ। আই লিভ ইন ঢাকা, আই উড লাভ টু চিয়ার্স।’ এর অর্থ কী? এ ঘটনার নেপথ্যে কোনো গডফাদার রয়েছেন? নাকি শরীফুল রাজ কোনো গডফাদারের হুমকি পেয়েছেন? তবে অনেক নাটকীয়তার পরে একই ফ্রেমে পরীমনি ও শরীফুল রাজের দেখা মিললো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।