Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন কারিকুলামে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে

বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

২০২৩ সালের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্য বইয়ে সন্নিবেশিত পাঠ্য বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে নতুন পাঠ্যসূচিতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি। নতুন কারিকুলামে বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। মাদরাসা সিলেবাসের বইয়ের স্বাতন্ত্রতা পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন। খেলাফত মজলিস ঃ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন। দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গৃহীত এক প্রস্তাবে ২০২৩ সালের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্য বইয়ে সন্নিবেশিত পাঠ্য বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় নতুন পাঠ্যসূচিতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি। সেক্যুলার রূপ দেয়ার জন্য ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বাংলা, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বইয়ে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের হতাশ হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের প্রচ্ছদে ময়ুরের ছবি দেয়া হয়েছে যা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের জাতীয় পাখী। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের জাতীয় পাখীর ছবি ব্যবহার করা যেতো। এ বইতে প্রাচীন পুরাতাত্ত্বিক ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে যেসব বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয়েছে তা নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আর বইয়ে ব্যবহৃত কাগজ ও ছাপার মান নিয়ে প্রশ্নের তো শেষ নেই। নতুন কারিকুলামে বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। মাদরাসা সিলেবাসের বইয়ের স্বাতন্ত্রতা পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। গৃহীত প্রস্তাবে নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার সঙ্কোচনের প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের সকল বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, আপত্তিকর বিষয়সমূহ সংশোধন করা এবং সিলেবাস প্রণয়ন কমিটিতে বিশেষজ্ঞ আলেম প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির জোর দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে-ইসলামী ফ্রন্ট ঃ জাতীয় শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচন নীতি পরিহার করে শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাঠ্যসূচিতে ইসলামী শিক্ষা কমিয়ে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা চালু বরদাশত করা হবে না। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল স.উ.ম আবদুস সামাদ। সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ৭ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা, আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আবেদী, এম সোলায়মান ফরিদ, সৈয়দ মোজাফফর আহমদ মোজাদ্দেদী, প্রিন্সিপাল আবু জাফর মো.মাঈনুদ্দিন, অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলাল, কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন সিদ্দীকি আশরাফী, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, মাস্টার আবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন, সাইফুদ্দিন আহমদ, আব্দুল্লাহ আল জাবের, ইমরান হুসাইন তুষার, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।

ইসলামী ঐক্য জোট ঃ ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা অ্যাডভোকেট আব্দুর রকীব এক বিবৃতিতে নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচন এবং ভিনদেশিয় সংস্কৃতিকে অধিক অগ্রাধিকার দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর জোর দাবি জানিয়েছেন। বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় পরীক্ষা বাতিল করার ঘটানার পেছনে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা চালুর ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সকল স্তলে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জোর দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ