Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোগান্তি কমছে না

বিমানবন্দর-আব্দুল্লাহপুর সড়কে ফ্লাইওভারে গণপরিবহণের অনাগ্রহ

উত্তরা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

উত্তরা হাউজ বিল্ডিং থেকে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস পযর্ন্ত বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারে গণপরিবহন চলাচলে চালকদের আগ্রহ না থাকায়, উত্তরার বিমানবন্দর সড়ক থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। যানজটের ফলে বাসযাত্রীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। উত্তরা থেকে টঙ্গী পযর্ন্ত এই ফ্লাইওভার অংশের ২ দশমিক ২ কিলোমিটার গত ৬ নভেম্বর সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণপরিবহন ও ব্যাক্তিগতগাড়ী সহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন। বিআরটি প্রকল্পের টঙ্গী ফ্লাইওভারের ঢাকামুখি দুটি লেন খুলে দেয়ায় গাজীপুরের টঙ্গী থেকে উত্তরার আজমপুর পযর্ন্ত সময় লাগছে মাত্র কয়েক মিনিট। এর ফলে খুশি পরিবহন চালক ও যাত্রীরা।

যানজটে যাত্রী হয়রানি কমানোর জন্য ফ্লাই ওভারের একাংশ খুলে দিলেও টঙ্গী থেকে উত্তরা আজমপুর ফ্লাইওভারে গণপরিবহন চলাচল কম দেখা যায়। গণপরিবহন চালকেরা গাড়ি নিয়ে ফ্লাইওভারে উঠতে অনিহা প্রকাশ করছেন। কারণ হিসেবে চালকরা জানান, টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস থেকে উত্তরা আজমপুর পযর্ন্ত সড়কে প্রচুর যাত্রী থাকে, ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে গেলে তারা সে সকল যাত্রী নিতে পারে না। তারা আরো জানায় যাত্রী নিতে না পারায় তাদেরকে লোকসানে পড়তে হয়। মূলত লোকসানের হাত থাকে বাঁচতেই চালকরা ফ্লাইওভারে উঠতে চায় না।

অপরদিকে টঙ্গী থেকে উত্তরা আজমপুর ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে খুব অল্প সময়ে দীর্ঘ যানজটের রাস্তা পাড়ি দিতে পেরে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য গাড়ির চালকেরা আনন্দ প্রকাশ করছে। তারা আরো জানায় ক’দিন আগেও এই সড়কের যানজট অতিক্রম করতে এক ঘন্টার ও বেশী সময় লাগতো। এই ফ্লাই ওভারের ঢাকা মুখি দুটি লেন খুলে দেয়ায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এই রুটে যাত্রীরা জানান, টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে উত্তরা যেতে টঙ্গী বাজার আবদুল্লাহপুর ব্রিজ যানজট ছিলো নিত্যদিনের সঙ্গী। ফ্লাইওভার খুলে দেয়ায় মাত্র ৫/৬ মিনিটে টঙ্গী ফায়ারসার্ভিস স্টেশন থেকে উত্তরা যাওয়া গেলেও গণপরিবহন ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল না করায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ। এছাড়াও বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষে ফ্লাইওভারটি পুরোপুরি খুলে দিলে যানজট ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন যাত্রীরা এমনটা জানান স্থানীয় দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা। জানা যায়, ২০১২ সালে বিআরটি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। বিআরটি প্রকল্প পরিচালক মহিবুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই বছরের মধ্যেই বাকী কাজ সম্পন্ন হবে এবং কাজ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য দুই সাইট পুরোটা খুলে দেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ