Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে বরিশালে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:১৫ পিএম

বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে বরিশালে নারী ও শিশু নিযাতন দমন ট্রাইবনালে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তা। ১০ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন’র সাবেক এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসার ফেরদৌস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করা হয় বলে ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। ট্রাইবুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন অভিযোগটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলার গ্রহণ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান ফেরদৌসের (৪০) বিরুদ্ধে বাদীনী (৩৭ অভিযোটি দায়ের করেন। তবে এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য সাংবাদিকগন পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের সেলফোন ও হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাদীনীর আইনজীবী বিপ্লব কুমার রায় জানান, বাদী ও বিবাদী একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। সেই সূত্রে তারা পূর্বপরিচিত। বরিশাল এসে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সম্পর্কের বিষয়টি নারী কর্মকর্তার স্বামী জানতে পেরে গত বছরের জানুয়ারিতে ডিভোর্স দেন।
অভিযোগে দাবি করা হয়, এরপর ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বাংলোতে ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী ওই নারী কমকতার সাথে ফেরদৌসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে উভয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অংশ নেন। তবে গত বছরের মার্চে ফেরদৌসের প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ ওই বাংলাতো আসেন, তখন বাদীও সেখানে যান। এসময়ে বিয়ে নিবন্ধনের জন্য চাপ দিলে বাদীনীকে মারধর করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত বছরের ২২ জুলাই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে নিয়ে ঢাকার ইস্কাটনে পুলিশ অফিসার্স মেসে যান। ২৫ জুলাই গুলশানের এক বন্ধুর বাসায় তাদের বিয়ে নিবন্ধন হয়। পরে তারা বরিশালে ফিরে আসেন।
তবে এরপর কাবিননামা চাইলেও তা পাননি জানিয়ে বাদীনী অভিযেগ করেন, গত ৮ অক্টোবর ফেরদৌস বরিশাল থেকে চলে যান। এরপর যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের কথা ভুলে যেতে বলেন এবং বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন।
এরপর গত ২০ নভেম্বর স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে ওই নারী আইনি নোটিস পাঠান। জবাব না পেয়ে ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। তখন পুলিশ আদালতে মামলার পরামর্শ দেয় বলে বাদীনীর আইনজীবী আদালতকে অবহিত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ