Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোজ্যতেলে ভ্যাট সুবিধা আরো ৪ মাস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ভোজ্যতেলে উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট মওকুফের মেয়াদ চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে তিন দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডÑএনবিআর এ বিষয়ে গতকাল এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ১ জানুয়ারি থেকে নতুন আদেশ কার্যকর বলে গণ্য হবে।
এনবিআর বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত ভোজ্যতেলের দাম আশানুরূপ না কমার পরিপ্রেক্ষিতে দেশীয় বাজারে দাম সহনীয় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনে তেলের দাম সর্বোচ্চ দাম ১৮৭ টাকা, আর পাম ১১৭ টাকা। মিল মালিকরা বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কিছুটা কমলেও ডলারের দাম বাড়ার কারণে দেশে পণ্যটির দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ভোজ্যতেলে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ছাড়া আর কোনো স্তরে ভ্যাট নেই। এ সুবিধা তিন দফা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ মেয়াদ ছিল সদ্য বিদায়ী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভোজ্যতেল উৎপাদক ও বিপণনকারী কোম্পানি সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘ভ্যাট মওকুফ সুবিধা অব্যাহত না রাখা হলে ভোজ্যতেলের শুল্ক-কর হার বেড়ে যাবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে। সে জন্য আমাদের দাবি হচ্ছে, বর্তমান যে সুবিধা রয়েছে তার মেয়াদ আগামী বাজেট পর্যন্ত বহাল রাখা হোক।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর গত মার্চ থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারেও দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ কিছুটা কমাতে বিদায়ী বছরের ১৪ মার্চ প্রথমবারের মতো এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করে সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করে।
এর দুদিন পর ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। তখন এর মেয়াদ ঠিক করা হয় ৩০ জুন পর্যন্ত। পরে ৩ জুলাই আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ভ্যাট মওকুফ সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু বাজার স্বাভাবিক না হওয়ায় এর মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সরকার আশা করেছিল, এর মধ্যে বিশ্ববাজারে দাম কমে আসবে এবং দেশীয় বাজারে দাম সহনীয় হবে। কিন্তু দাম যতটা কমেছে, ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের কারণে ততটুকু সুবিধা ভোক্তার পায়নি।
বর্তমানে বিশ্ববাজারে অশোধিত ভোজ্যতেলের দাম টনপ্রতি ১ হাজার ২০০ ডলার। এক পর্যায়ে তা ছাড়িয়ে গিয়েছিল এক হাজার ৭০০ ডলার। বছরে ২১ লাখ টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়। এছাড়া মাড়াই করে পাওয়া যায় আরও তিন লাখ টন সয়াবিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ