Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বৈশি^ক সংকটের মধ্যে চাপের মধ্যে পড়া দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের পঞ্চম মাস নভেম্বরে দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত ২০২২ সালের নভেম্বরে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ১৪ শতাংশ বেশি ঋণ নিয়েছেন। পরপর দুই মাস কমার পর নভেম্বরে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক উর্ধ্বমুখী হয়েছে। অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস গত আগস্টে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক শূন্য সাত শতাংশে উঠেছিল। তবে পরের মাস সেপ্টেম্বরেই তা ১৪ শতাংশের নিচে নেমে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগস্টে তা বেড়ে ১৪ দশমিক দশমিক শূন্য সাত শতাংশে উঠে য়ায়। এরপর সেপ্টেম্বরে তা কমে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। অক্টোবরে তা আরো কমে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে আসে। নভেম্বরে এই হার খানিকটা বেড়ে ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশে উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ঋণ প্রবাহের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, নভেম্বর মাস শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা, যা আগের মাস অক্টোবর শেষে ছিল ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের মুদ্রানীতিতে (২০২১-২২ অর্থবছর) এই লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। শেষ পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ওই অর্থবছর শেষ হয়েছিল। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে বাজারে টাকার প্রবাহ কমাতে নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কমিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ব্যাপারে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, গত কয়েক মাস ধরেই বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ছিল। এই কঠিন সময়ে ১৪ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি মন্দ নয়। তিনি বলেন, করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল, তাতে এই ঋণ প্রবৃদ্ধিতে অবদান ছিল। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় দেশে বিনিয়োগের একটি অনুকূল পরিবেশও দেখা দিয়েছিল। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলসহ কয়েকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে উদ্যোক্তারা নতুন পরিকল্পনা সাজিয়ে বিনিয়োগে নেমেছিলেন। ব্যাংকগুলো তাতেও বিনিয়োগ করেছেন। সব মিলিয়ে বেসরকারি খাতের ঋণের একটি গতি এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকদের এলসি খুলতে বেশি টাকা লাগছে। তাতেও ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ