রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে প্রেমিকা। গত সোমবার বিকেলে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নেয়।
জানা যায়, উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমরাশাসন গ্রামের মো. সোলাইমানের ছেলে রায়হান পার্শবর্তী সোহাগি ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রাদিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্কের ফলে প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় দু’জনে দেখা সাক্ষাৎ করতো। এভাবেই চলতে থাকে দীর্ঘদিন। এই চলাফেরার এক পর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপ দেয় প্রেমিকা রাদিয়া। কিন্তু বিয়ের বিষয়টি বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যায় প্রেমিক রায়হান। এদিকে এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে পুনরায় বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে রাদিয়া। তারপর প্রেমিক রায়হান ২০২৩ সালে বিয়ে করবে বলে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। এ অবস্থায় ২০২৩ নতুন বছর উপলক্ষে গত রোবাবার রাতে রায়হান তার বন্ধুদের নিয়ে বাড়ির পাশেই পিকনিকের আয়োজন করে। সেই পিকনিকে অংশ নিতে বলেন তার প্রেমিকা রাদিয়াকে। কিন্তু রাতে আসতে পারবে না বলে দেয় রাদিয়া। পরে ওইদিন রাতে প্রেমিক রায়হান বন্ধুদের ফাঁকি দিয়ে চলে যায় রাদিয়ার বাড়িতে। যাওয়ার পর বাড়ির একটি পুরাতন টিনের ঘরে লুকিয়ে দেখা করে দু’জন। ঠিক ওই সময় তারা দু’জনের আলাপচারিতা শুনতে পেয়ে রাদিয়ার চাচাতো ভাই এগিয়ে গেলে তা রায়হান টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরে ফেলে রাদিয়ার চাচাতো ভাই। এঅবস্থায় শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সেই ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রায়হান তার গায়ে থাকা চাদর রেখেই পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার পর প্রেমিকা রাদিয়া রায়হানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে বিয়ে করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এঅবস্থায় প্রেমিকা রাদিয়া সোমবার বিকেলে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন প্রেমিক রায়হানের বাড়িতে।
রাদিয়া বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে আমার আর রায়হানের প্রেমের সম্পর্ক। অথচ বিয়ের কথা বললেই আমাকে বিভিন্ন অযুহাত দেখায়। পরে পুনরায় আবার বিয়ের চাপ দিলে তখন সে বলে ২০২৩ সালে বিয়ে করবে। তাই নতুন বছরের প্রথমদিনে গোপনে সে আমাদের বাড়িতে আসে। গোপনে আসার বিষয়টা আমার ভাইয়েরা টের পেয়ে গেলে সে তখন পালিয়ে চলে আসে। এরপর তার সাথে যোগাযোগ করলে সে আমাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। এ জন্যই বিয়ের দাবিতে আমি তাদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি। রায়হান যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি এখানে আত্মহত্যা করবো।
রায়হানের বড় ভাই খাইরুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন আগে জানতাম এই মেয়ের সাথে রায়হানের সম্পর্ক রয়েছে। পরে আমরা তাকে শাসন করলে সেখান থেকে সে সরে আসে। তারপর গতকাল যখন আবার ওই মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলো এমন খবর পেয়েছি তখন তাকে কঠিন মারধর করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ওই মেয়ে আমাদের বাড়িতে আসছে এটা নিশ্চয় কোন ষড়যন্ত্র।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।