রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
খুনের বদলে খুন হলেন মোশারফ হোসেন মৃধা (৫৫) নামের এক ব্যক্তি একটি হত্যাকান্ডের ২ বছর ১১ মাস ২০ দিনের মাথায় সেই হত্যার বদলা নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রামে। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ওই গ্রামের মোশারফ হোসেন মৃধা (৫৫) নামের এক কৃষককে। তিনি ওই গ্রামের মৃত: নুরোল ইসলাম মৃধার ছেলে। স্থানীয় আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের আবু সাঈদ মোল্যা (৫৩) নামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। তিনি ছিলেন ওই গ্রামের মৃত. ইসলাম মোল্যার ছেলে এবং স্থানীয় আ.লীগ নেতা ইউনুস শিকদারের সমর্থক। ওই ঘটনার প্রায় ৩ বছর পর মোশারফ হোসেন মৃধাকে খুনের মধ্যদিয়ে বদলা নেয় ওই আ.লীগ নেতার সমর্থকরা। মোশারফ হোসেন মৃধা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা মফিজুর রহমান মীনার সমর্থক ছিলেন।
জানা যায়, উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের আ.লীগ নেতা ইউনুস শিকদার এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা মফিজুর রহমান মীনার সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে প্রায় ৩ বছর আগে আবু সাঈদ মোল্যা নামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য খুন হন। গত সোমবার রাতে খুন হন মোশারফ হোসেন মৃধা। তবে মোশারফ হোসেন মৃধা হত্যাকান্ডকে ঘিরে রহস্যের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কেউ কেউ। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, একজন মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হলো অথচ আশে পাশের কেউ কোনো চিৎকারের শব্দ শোনেন নি। মোশারফ হোসেন মৃধার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। নেপথ্যের কারণসহ পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িতদেরকে চিহ্নিত করে শিগগিরই গ্রেফতারের করবেন এমনটায় আশা সচেতন মহলের।
নিহত মোশারফ হোসেন মৃধার ভাতিজা মিনারুল ইসলাম জানান, তারা চাচাকে প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তিনি আরও জানান, ঘটনার রাতে মোশারফ হোসেন মৃধা বালিদিয়া বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। তবিবর মৃধার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পৌছলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারিরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরার মর্গে প্রেরণ করেছেন।
এ ঘটনার পর থেকে বালিদিয়া গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মাগুরা সদর সার্কেল) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় হত্যাকান্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে অনাকাঙ্খিত এ ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
মহম্মদপুর থানার ওসি অসিত কুমার রায় বলেন, ‘ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের সাথে জড়িতদেরকে সনাক্ত করার কাজ করছি আমরা। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।