বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে একাধিক বৈঠক ও আলোচনার পরেও বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা বন্ধ না হওয়া খুবই উদ্বেগ জনক।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও চীন,নেপাল, ভুটান,পাকিস্তান ও মিয়ানমারের সীমান্ত থাকলেও বিগত ১৫ বছরেও সেসব দেশের কোন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে নাই অথচ বাংলাদেশ - ভারত সীমান্তে প্রায়ই হত্যাকান্ড ঘটেই চলছে। বিগত ২০০০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দেড় হাজারের বশি বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করেছে বিএসএফ। অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়েছে অসংখ্য। চলতি ইংরেজী নতুন বছরের শুরুতেই লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী সীমান্তে গত শনিবার বিপুল নামের ২০ বছরের এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যা করেছে বিএসএফ।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে কাটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানীকে হত্যাকারী বিএসএফ অমিয় ঘোষকে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বেকসুর খালাস দেয়ার ঘটনা আজো বিশ্ববাসী মেনে নিতে পারে নাই। ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার না হওয়ার কারণেই বারবার বাংলাদেশি মানুষ হত্যার দুঃসাহস দেখাচ্ছে বিএসএফ। সীমান্তে প্রাণঘাতি কোন অস্ত্র ব্যবহার করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও ওয়াদা রক্ষা করছে না ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বাংলাদেশের দূর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণেই ঔদ্ধত্য দেখিয়ে যাচ্ছে তারা।
আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী আরো বলেন কেউ কোন আইন লঙ্ঘন করলে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিতে পারে, তা নাকরে নিরস্ত্র মানুষকে লক্ষ করে পাখির মতো গুলিকরে হত্যাকরা কোন বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না।আর যাতে কোন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করা না হয় সেই জন্য সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।