Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঘনকুয়াশায় গোটা চুয়াডাঙ্গা অন্ধকারাচ্ছন্ন; কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে গোটা জেলা

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:৪৬ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় সকাল থেকে ঘনকুয়াশায় অন্ধকারাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে গোটা জেলা। বেলা বাড়লেও এখনও সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘনকুয়াশায় দৃষ্টি সীমা ৫০০ মিটারে নেমে এসেছে। এমতবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীত জনিত কারনে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।
চুয়াডাঙ্গায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড থাকায় এ জেলায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। জেলার শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। দৃষ্টি সীমা ৫০০ মিটার। এর আগে এদিন সকাল ৬টায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিলো। ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। গত ১০ দিন থেকে এ জেলায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় সূর্যের দেখা মিলছেনা। দিনে শীত কম হলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে হাঁড় কাঁপানো শীত অনূভূত হচ্ছে। এর ফলে জনজীবনে দূর্ভোগ বাড়ছে এবং শীতজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ঠান্ডাজ্বর, কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
গত তিন দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রায় ৩৫০ জন রোগী শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। যা ধারন ক্ষতার চেয়ে ১৫ গুন। তাছাড়া হাসপাতালে বহিঃবিভাগে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.আসাদুর রহমান মালিক বলেন,শীতের তীব্রতা বাড়ার কারনে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী অন্যতম। শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের শরীরে গরম কাপড় পরিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। শীতে সকলকেই সচেতন হতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডার থেকে পাওয়া ২০ হাজার ১০০ কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়ে গেছে। আমাদের পক্ষ থেকে আরো ৩০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। খুব শিগ্রীই ওগুলো পাওয়া গেলে বিতরণ করা হবে। তাছাড়া বেসরকারী পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য চিঠি পাঠানো। সেখান থেকেও সাড়া মিলবে।
এ জেলায় দেশের কয়েকদিন আগে থেকেই চুয়াডাঙ্গায় ধীরে ধীরে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। শৈত্য প্রবাহের কারনে সঙ্গে প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। এ আবহাওয়া কয়েক অব্যাহত থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ