Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথের আবর্জনা যাচ্ছে নদীতে

দূষিত হচ্ছে পরিবেশ : ছড়াছে রোগ জীবাণু

আব্দুস সালাম, বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা দেদারছে ফেলা হচ্ছে এক সময়ের খড়শ্রোতা বাসিয়া নদীতে। এতে একদিকে ভরাট হচ্ছে নদী, অপরদিকে ময়লা আবর্জনা পচে দুর্গন্ধে বাড়ছে দূষণ। ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ-ব্যাধি। আর দূষণে নদীর পানি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একসময় বাসিয়া নদীর পানি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতেন স্থানীয়রা। এ নদীতে পাওয়া যেত দেশিয় প্রজাতির নানা ধরনের মাছ। কিন্তু আবর্জনা ফেলায় নদীর নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। তেমনি পানির প্রবাহ একেবারেই কমে গেছে। স্কুল-কলেজ, বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্গন্ধে কারণে মুখ ঢেকে থাকা দায়। তাছাড়া বিশ্বনাথ পৌর শহরে স্কুল-কলেজ, মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বাসিয়া ব্রিজ দম বন্ধ করে পার হতে হয়। এসব যেন দেখার কেই নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন রাতে ও দিনে পৌরসভার পুরানবাজার, নতুন বাজারের হোটেল রেস্তোরা, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা দেদারছে ফেলা হচ্ছে নদীতে।
এছাড়া পল্ট্রি ও মাংস ব্যবসায়িরা গরু, ছাগলের মল-মুত্র, রক্ত, নদীর পারে জবাই করে আবর্জনা নদীতেই ফেলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন। তবে, ব্যবসায়ি, বাসা-বাড়ির মালিকদের বক্তব্য পৌর সভা হওয়ার প্রায় ৩ বছর হয়েছে গেছে। এখনও ময়লা ফেলার জায়গা ব্যবস্থা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে নদীতে ফেলতে হয়।
এদিকে বাসিয়া নদীর দুই তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে একাধিকবার বরাদ্ধ আসলেও অদৃশ্য কারনে বা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, সবে মাত্র মেয়র হয়েছি। ইতোমধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ করা হয়েছে। আর ক্রমান্নয়ে বাসিয়া নদী রক্ষাসহ সকল উন্নয়নমূলক কাজে অগ্রগতি হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, আবর্জনা প্রথমত পরিবেশ দূষণ করে, বিশেষ করে বাচ্চাদের নিউমনিয়া, বড়দের এজমা, হাপানি, লিভারের সমস্যা, জন্ডিসসহ নানা কঠিন রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এজন্য সবাইকে মাক্স ব্যবহারের পাশাপাশি সচেতন থাকতে হবে।
পরিবেশ সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের (উপসচিব) মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, নদীতে ময়লা ফেলা মোটেই উচিৎ নয়। এ বিষয়ে তিনি পৌর মেয়র ও বাজার সভাপতি-সেক্রেটারির সাথে কথা বলবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ