Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিধবা নারী অপর্না বাড়ৈর ভাতা নিচ্ছেন প্রতারক সচিন বাড়ৈ

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিধবা নারী অপর্না বাড়ৈর ভাতা নিচ্ছেন সচিন বাড়ৈ নামে এক প্রতারক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পূর্ব পীড়ারবাড়ি গ্রামে। গতকাল সকালে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, চিত্তরঞ্জন বাড়ৈর বিধবা স্ত্রী অপর্না বাড়ৈকে ভাতা করে দেয়ার কথা বলে আড়াইবছর আগে ভোটার আইডি ছবি মোবাইল নাম্বার এবং দুই হাজার টাকা ঘুষ নেয় ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার শান্তিরঞ্জন মল্লিক। এরপর অপর্নার কাগজপত্র দিয়ে ভাতাভোগীদের তালিকায় নিবন্ধন করে অপর্নার নাম কিন্তু সেখানে তার নাম্বার না দিয়ে নাম্বার দেয়া হয় মেম্বারের কাছের লোক সচিন বাড়ৈর এরপর থেকে অপর্না বাড়ৈর নামের ভাতার টাকা উত্তোলন করে আসছেন সচিন বাড়ৈ। বিধবা নারী অপর্না বাড়ৈ বলেন- আমার স্বামী নাই, একটা ঘর ছিল সেটাও আগুনে পুরে ছাই হয়েছে, এখন আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাঁচবো কি করে, আমি নিঃস্ব হয়ে গত কয়েকদিন আগে যখন বর্তমান মেম্বারের কাছে ভাতার জন্য যাই, তখন জানতে পারি যে দুইবছর তিনমাস আগে আমার নামে ভাতা হয়েছে কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত কোন টাকা পাইনি এখন জানতে পেরেছি যে আমার টাকা তুলে নিচ্ছেন সচিন বাড়ৈ। এ ব্যাপারে পুর্ব পীড়ারবাড়ি গ্রামের ভাতা উত্তোলনকারী সচিন বাড়ৈর কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার নামে কোন ভাতা নেই, আমি টাকা উত্তোলন করছি আমার বোন অপর্না বাড়ৈর নামের টাকা।
সাবেক মেম্বার শান্তিরঞ্জন মল্লিক বলেন, অপর্না বাড়ৈকে ভাতা করে দিয়েছি আমি, কিন্তু টাকা পাওয়ার জন্য তখন কোন মোবাইল নাম্বার দিয়েছিলাম বলতে পারছিনা।
বর্তমান মেম্বার দুলাল বাড়ৈ বলেন, তিনবছর আগে সাবেক মেম্বার শান্তিরঞ্জন মল্লিক ভাতা করে দেয়ার জন্য অর্পনার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নেয়। এরপর সেখানে সচিন বাড়ৈর মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়। কিছুদিন আগে আমার কাছে ভাতার জন্য আসলে আমি ভাতা ভোগীদের তালিকায় দেখি অর্পনার নাম আছে, এভাবে বিষয়টি জানতে পারি। সচিন বাড়ৈ সাবেক মেম্বার শান্তি মল্লিকের কাছের লোক বলেও জানান তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২ বছর ৩ মাস আগে ভাতা প্রাপ্তদের তালিকায় অপর্নার নাম নিবন্ধিত হয়েছে এপর্যন্ত সচিন বাড়ৈর নাম্বারে ১৩ হাজর ৫০০ শত টাকা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় জানা জানি হলে কয়েক দফায় সালিশ দরবার হয়েছে, তবে কোন কাজে আসেনি স্থানীয়রা প্রতারক সচিন বাড়ৈ এবং মেম্বর শান্তিরঞ্জন মল্লিকের সাস্তির দাবি জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ