Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মানুষের ঢল

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৮ পিএম

কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইটের সব ধরনের আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বিপুর দর্শনার্থী ভিড় করেছে। শেষ সূর্যাস্ত দেখতে পর্যটকের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেছে। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত হয় সমুদ্র সৈকত। তবে প্রতিবারের মতো কোনো বিশেষ উৎসব ছিলনা।

জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইটের সকল ধরনের আয়োজনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সরকারি নির্দেশনা মতো কক্সবাজারে থার্টিফার্স্ট নাইটের সব ধরণের আউটডোর আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতিবারের মতো এবারও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে হোটেল-মোটেল ছাড়াও সমুদ্র সৈকতসহ আউটডোরে বিভিন্ন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করায় পর্যটন শিল্পে একটি বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এতে আগ্রহ থাকলেও শেষ মুহূর্তে অনেক পর্যটক বেড়াতে আসেনি। তারপরও লাখো পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছে। এছাড়া বর্ষ বিদায় ও নতুন বছরে বরণে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বহু দর্শনার্থী সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আগত পর্যটকরা বিকাল থেকে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা,লাবণী কলাতলী পয়েন্ট বিপুলা পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থীরা অবস্থান করেন। সূর্যাস্তের সময় ঘনিয়ে আসলে সবাই সমুদ্র সৈকতের কিনারে গিয়ে সূর্যাস্ত অবলোকন করতে দেখা যায়। তারা বছরে শেষ সূর্যকে সাথে বিভিন্ন আঙ্গিকে ছবি তুলেন।

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থার্টিফার্স্ট নাইটের অংশ হিসেবে সমুদ্র সৈকত বা কোনো উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরণের জমায়েত, অনুষ্ঠান, আতশবাজি, গানবাজনা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজন করা যাবে না। তারপরও পর্যটকসহ দর্শনার্থীদের উপভোগের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোনো আয়োজন করতে না পারলেও সারারাত সমুদ্র সৈকতসহ আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করা যাবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, সমুদ্র সৈকতে কোনো আয়োজন না থাকলে অনেক পর্যটক ও দর্শানার্থী বিচরণ করছেন। সারারাত অবস্থানও কোনো বাধা নেই। তাই সারারাত সমুদ্র সৈকতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে অবস্থান করতে পারবেন।

প্রতিবছরর বছরে শেষ দিনের সূর্যকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করতে কয়েক লাখ পর্যটক ছুটে আসেন কক্সবাজারে। তাই সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টকে সাজানো হয় নতুন সাজে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকায় থার্টি ফাস্ট নাইটে কর্মসূচী পালন করতে না পারায় অনেক পর্যটকের মন খারাপ বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ