বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এবার ভোট গণনা ও ফলাফলের পালা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে এই ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল বলে মনে করেন প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খান।
ভোটারদের উপস্থিত কম লক্ষ করে একপর্যায়ে তাঁদের কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান আইভী।
আর মানুষ ভীত হয়ে বা কারও প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ভোটকেন্দ্রে আসছেন না বলে মত দেন সাখাওয়াত।
নির্বাচন নিয়ে আইভী ও সাখাওয়াতের ছোটখাটো কিছু অভিযোগ ছিল। কিন্তু গুরুতর অনিয়মের কোনো অভিযোগ তাঁদের তুলতে দেখা যায়নি।
নির্বাচন চলাকালে তেমন কোনো অপ্রীতিকর বা সহিংস ঘটনার খবর মেলেনি।
শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনিশ্চয়তা-শঙ্কা থাকলেও ওই সময় পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও সন্তোষজনক ছিল।
দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে, উৎসবমুখর হচ্ছে।
বেলা আড়াইটার দিকে ভোট দিতে এসে আলোচনার জন্ম দেন সরকার দলীয় এমপি শামীম ওসমান। আইভীকে ভোট দিয়ে সেই ব্যালট পেপার উপস্থিত সবাইকে দেখান তিনি। বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
দলীয়ভাবে ও দলীয় প্রতীকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনেই প্রথম ভোট হলো। এর আগে সব সিটি কর্পোরেশনে দল নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে।
দলীয় প্রতীকে হওয়া নির্বাচনগুলো নিয়ে একের পর এক অভিযোগ ওঠার মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। গত ২৪ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অভিযোগ ওঠেনি। প্রার্থীদের মধ্যে একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনাও ছিল কম।
দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ২০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়র পদে লড়াই করেন সাতজন। যদিও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রার্থী কামাল প্রধান ও কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান। অন্য তিন প্রার্থী হলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল (কোদাল), ইসলামী আন্দোলনের মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা) ও ইসলামী ঐক্যজোটের ইজহারুল হক (মিনার)। ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১৫৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।