Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানুষের এই জাগরণ খুব শীঘ্রই গণঅভ্যুত্থানে রুপ নিবে: গণঅধিকার পরিষদ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:৩০ পিএম

গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বলেছেন, ‘ভোট ডাকাতির ৪ বছর আজ। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। আজকে ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে, মানুষের এই জাগরণ খুব শীঘ্রই গণঅভ্যুত্থানে রুপ নিবে।’

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীতে গণঅধিকার পরিষদের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ থেকে কফিন বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘১৪ সালে কোনো ভোট হয়নি, ১৮ তেও হয়নি। ১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন এমপি হয়েছে। ১৮ সালে ভোটকেন্দ্র দখল হয়েছে। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ায় গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। তারা আবার ২৪ সালে একইভাবে ভোটাধিকার হরণ করতে চায়। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছেন, খেলা হবে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে কিসের খেলা? আর খেলার জন্য তো নিজেরা নামছেন না। পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে নামিয়ে দিচ্ছেন।’

গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান বলেন, ‘আজকে ভোট ডাকাতির ৪ বছর। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। আজকে ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে, মানুষের এই জাগরণ খুব শীঘ্রই গণঅভ্যুত্থানে রুপ নিবে।
মানুষের এই জাগরণে অবৈধ সরকার ভয় পেয়ে দমানোর চেষ্টা যদি করে তাহলে সরকার নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবে।
আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’

যুগ্ম আহবায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে আজকের এই দিনে ৩০ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে জনগণের ভোট চুরি করে ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের ভোট চুরির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় গণ অধিকার পরিষদ অপরাপর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মতো রাজপথে থাকবে। যে কোনো মূল্যে নিরপেক্ষ সরকার এবং জনগণের ভোটাধিকার আদায়ই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

গণঅধিকার পরিষদের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ থেকে একটি কফিন মিছিল শুরু করে, পল্টন মোড় ও নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।

যুগ্ম সদস্যসচিব আতাউল্লাহ বলেন, ৯০ দশকে আমরা যারা জন্মগ্রহণ করেছি, বর্তমানে তরুণ, আমরা কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দেখি নাই। ৭২ এর সংবিধানে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ সংবিধান সংস্কার করে স্থায়ী নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার করে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মত প্রকাশ করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোহরাব হোসেন, আবু হানিফ,শাকিলউজ্জামান, সাদ্দাম হোসেন,ড.মালেক ফরাজী, যুগ্ম সদস্যসচিব, আব্দুজ জাহের,সদস্য তোফাজ্জল হোসেন,ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ