বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাগুরার শালিখা উপজেলা আড়পাড়া খাদ্য গুদাম থেকে ১২০ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের প্রেক্ষিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের লিখিত অভিযোগে গুদাম কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আড়পাড়া খাদ্য গুদাম শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে সিলগালা করা হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর গোডাউন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম কে অন্যত্র বদলী করা হয় এবং আড়পাড়া গোডাউনে মাগুরা সদর গুদাম কর্মকর্তা নূরে আলম কে আড়পাড়া খাদ্য গুদামে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর নূরে আলম কে দায়িত্ব বুজে দেওয়ার সময় গোডাউনের পর্যাপ্ত মালামালের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। এরপর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সালমা চৌধুরী লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শালিখা থানার পুলিশ গতকাল ২৯ ডিসেম্বর রাতেই তাকে আটক করে।
এ বিষয়ে শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরী বলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ কুমার মজুমদার এর নির্দেশে বাদী হয়ে শফিকুল ইসলামের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ কুমার মজুমদার বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মহাপরিচালকের নির্দেশে মামলার এজাহারে দস্তখাত করেন। শালিখা থানার ওসি বিশারুল ইসলাম জানান গুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ এবং সেই সাথে দুদকের মামলা রজু প্রক্রিয়াধীন।
গুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম স্ত্রী রুলি খাতুন বলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরী, দারোয়ান সুভাষ চন্দ্র সরকার ও লেভার বিপুলের যোগসাজশে এমন ঘটনা ঘটেছে। খামাল সাজানোর সময় বাইরের দিকে ১০ বস্তা এবং ভিতরের দিকে ৯ টা করে চালের বস্তা সাজিয়ে রেখেছে। শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরা বৃহস্পতিবার রাতে শফিকুলকে গ্রেফতারের পর ৪ টি গোডাউনে সীলগালা করে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।