Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কুয়াশার সাথে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল

বিপর্যস্ত জনজীবন ক্ষতির মুখে পাকা আমন আর বোরো বীজতলা

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:০৩ পিএম

মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশার সাথে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে। গত তিন দিন ধরেই শেষরাত থেকে মেঘনা অববাহিকার সব নদ-নদী থেকে দিগন্ত বিস্তৃত দক্ষিণাঞ্চল মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে। সূর্যের মুখ দেখতে অপক্ষোয় থাকতে হচ্ছে অনেক বেলা অবধি। শুক্রবারও সকাল ১০টার পরে বরিশালের আকাশে সূর্য উকি মারে। সাথে তাপ মাত্রার পারদ মৌসুমের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাওয়ায় জনজীবন প্রায় সম্পূর্ণই বিপর্যস্ত। মাঠে পাকা আমন আর বোরো বীজতলা ক্ষতির মুখে। শুক্রবার সকালে বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা ছিল স্বাভাবিকের ৩.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে। অথচ মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে, বুধবার সকালে বরিশালে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের প্রায় ৬ ডিগ্রী ওপরে ১৯ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠে গিয়েছিল।

মৌসুমের স্বাভবাবিক লঘুচাপ দক্ষিন বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করলেও তার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে মৃদু শৈত্য প্রবহ শুরুর কথা জানিয়ে তা অব্যাহত থাকবে বলেও বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। তবে শণিবার সকালের পরবর্তি ৪৮ ঘন্টায় আবহাওয়ার বর্তমান পরস্থিতির সামান্য পরিবর্তনের কথাও বলেছে আবহাওয়া দপ্তর।

শুক্রবার কালে দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলার মধ্যে বরিশাল ও গোপালগঞ্জেই সর্বনিম্ন তপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রা মৌসুমের নি¤œ পর্যায়ে নেমে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত রোগ ব্যধীও বাড়ছে। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের শুধু সরকারী হাসপাতালগুলোতেই নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোগী চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃয়োবৃদ্ধর সংখ্যাই সর্বাধিক।
শুক্রবার দিনভরই সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলের আকাশ যুড়ে হালকা থেকে মাঝারী মেঘের আনাগোনায় সূর্য বারবরই আড়ালে থেকেছে। ফলে জনজীবনে সংকট আরো বাড়ছে। অনেকটাই হাড় কাঁপান শীতে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবনই এখন অনেকটা বিপর্যস্ত। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া শুক্রবার অনেকেই ঘর থেকে বের হননি।

তবে কনকনে ঠান্ডায় দক্ষিণাঞ্চলের মাঠ যুড়ে পাকা আমন ধান কর্তনও মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। অনেক এলাকায়ই কৃষি শ্রমিকরা মাঠে নামতে পারছেন না হীম শীতল ঠান্ডার সাথে উত্তরের বাতাসে। ফলে কৃষকের দুঃশ্চিন্তাও ক্রমশ বাড়ছে। গত বুধবার শেষ রাতে এক দফা বৃষ্টিপাতে দক্ষিনাঞ্চলের উঠতি পাকা ধান যথেষ্ঠ ক্ষতির কবলে পড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ