Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ

সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, কোন ধরনের বন্ধুত্বের নমুনা

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যায় জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত। আর কত বাংলাদেশি নিরস্ত্র-নিরীহ নাগরিককে হত্যা করলে আমাদের রাষ্ট্রের টনক নড়বে। বারবার সীমান্তে গুলি, বাংলাদেশি খুন, নির্যাতন, লাশ গুম এটি কোন ধরনের বন্ধুত্বের নমুনা? বন্ধুর বুকে বন্ধু কখনো গুলি চালায় না। এটি পৃথিবীতে নজিরবিহীন। দেশের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির ফলে এ ধরনের হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। অথচ আমাদের সরকার নিশ্চুপ। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি সাদিক হোসেন ও মংলু মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন ইসলামী দলের বিবৃতি ও পৃথক সংগঠনের মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি সাদিক হোসেন ও মংলু মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা ঘটলেও এর জোরালো কোন প্রতিবাদ না হওয়ার হত্যাকান্ডের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির ফলে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে এই হত্যাকান্ডের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর দাবি জানান।
নাগরিক পরিষদের মানববন্ধন : নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেছেন, “জনগণ ভোটাধিকার বঞ্চিত, দ্রব্যমূল্য লাগামহীন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন, সীমান্ত হত্যায় জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত। আর কত বাংলাদেশি নিরস্ত্র-নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করলে আমাদের রাষ্ট্রের টনক নড়বে। বারবার সীমান্তে গুলি, বাংলাদেশি খুন, নির্যাতন, লাশ গুম এটি কোন ধরণের বন্ধুত্বের নমুনা? বন্ধুর বুকে বন্ধু কখনো গুলি চালায় না। এটি পৃথিবীতে নজিরবিহীন। অথচ আমাদের সরকার নিশ্চুপ। সরকার কোন ভাবেই এই হত্যার দায় এড়াতে পারেননা। নাগরিককে রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।”
আধিপত্যবাদী আগ্রাসন রোধ ও সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী, শ্রমিক নেতা আব্দুর রহমান, মহানগর গণঅধিকার পরিষদ নেতা আহমদ ইসমাঈল বন্ধন, মানবাধিকার নেতা মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্রনেতা তসলিম অভি, যুবনেতা শামীম রেজা, যুবনেতা সিয়াদাত রাজ।
ইসলামী ঐক্যজোট ঃ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম খান গতকাল একযুক্ত বিবৃতিতে বলেন, “স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। লালমনির হাট সীমানে দুই বাংলাদেশির হত্যাকাণ্ডে জনগণ চরম উৎকন্ঠায়। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রধান চ্যালেঞ্জ আধিপত্যবাদের এদেশীয় দালালরা। এসব দালালরা সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নীরব ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের সীমান্তে হত্যার ঘটনায় দেশবাসি উদ্বিঘ্ন। যা খুবই নিন্দনীয়। সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের সরকার এবং বিবেকবানদের নির্বাক থাকা সন্দেহজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। বারবার সীমান্ত হত্যা, সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অবহেলার শামিল। নেতৃদ্বয় বিএসএফ এর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর জোর দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ