বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার আব্দুল জাব্বার ম-লসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল বুধবার ধানমন্ডির সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার সমন্বয়ক সানাউল হক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। প্রায় দুই বছর তদন্ত কার্যক্রম চলার পর তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো।
অভিযুক্ত অপর পাঁচজন হলেন- জাছিজার রহমান ওরফে খোকা, আজগর হোসেন খান, মোন্তাজ আলী ব্যাপারী, আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল ও মো. রনজু মিয়া। আসামিদের মধ্যে রনজু মিয়া শুধু গ্রেফতার আছেন। বাকি ৫ জন পলাতক। আসামিদের বিরুদ্ধে গত ২৯ মে ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই রনজু মিয়াকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছেন। এ অবস্থায়ই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
আসামির বিরুদ্ধে চার অভিযোগ :
আসামিরা ১৯৭১ সালের জুন মাসে পাকিস্তানী দখলদার ও ৮/১০ জন রাজাকারসহ হিন্দু সম্প্রদায়কে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে গাইবান্ধা সদর থানার বিঞ্চুপুর গ্রামের দ্বিজেস চন্দ্র সরকারকে হত্যা করে লাশ গুম করে। রনজু মিয়া বাদে বাকি আসামিরা সদর থানার নান্দিনা গ্রামের আবু বক্করসহ ৯ জনকে গুলি করে হত্যা। গাইবান্ধা জেলার সদর থানার সাহাপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লাল মিয়া বেপারী, আব্দুল বাকী এবং খলিলার রহমানসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে। এ ছাড়াও পাকিস্তানী দখলদাদের সঙ্গে মিলে ছয় আসামি সদর থানার নান্দিনা, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদাহ বিসিক শিল্প নগরী, ভবানীপুর ও চকগয়েশপুর গ্রামে গুলি চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন, নীরব হোসেনসহ মোট ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।