বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রখ্যাত ক্বারী উবায়দুল্লাহর জানাযা নামাজ শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটায় বিপুলসংখ্যক মুসুল্লী ও ভক্তদের উপস্থিতিতে মরহুমের জানাযা নামাজে ইমামতি করেন তার ছোট ছেলে ক্বারী অলিউল্লাহ। মরহুমের জানাযা নামাজে অংশ নিতে আসা ব্যাপক উপস্থিতিতে সমগ্র চকবাজার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
মরহুম ক্বারী উবায়দুল্লাহ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকালের সময় তাঁর বয়স ছিল ৮২ বছর। তাঁর পিতা হযরত মাওলানা মেহেরুজ্জামান (রহ.) ছিলেন প্রখ্যাত বুজুর্গ আলেম। ক্বারী উবায়দুল্লাহ সক্ষমতা থাকা পর্যন্ত জাতীয় সংসদ অধিবেশন, সরকারী অনুষ্ঠানে এবং বাংলাদেশ বেতারে কুরআন তেলাওয়াতের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
মরহুম ক্বারী উবায়দুল্লাহর জানাযা নামাজে উপস্থিত ছিলেন চকবাজার শাহী মসজিদের সভাপতিসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ, ইমাম-খতিব, আশেপাশের এলাকাসহ দূর-দূরান্ত থেকে আগত বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, খতিব, বিভিন্ন মাদরাসার মোহতামিম ও শিক্ষকগণ, রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত উলামায়ে কেরাম, বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীগণ।
নেতৃবৃন্দের শোক
দেশের বরেণ্য আলেমেদীন ও বিশ্ববিখ্যাত ক্বারী মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ’র ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ। পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেন, ক্বারী মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ তার সুললিত কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদাকে উজ্জ্বল করেছিলেন। তিনি একজন অদম্য সাহসী ও বরেণ্য আলেম, ক্বারী ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশবাসী একজন নিরহঙ্কার, নির্লোভ মানুষকে হারালো। তিনি বহুমুখী খেদমতের আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। বিশ্ববাসী তাঁর সমধুর কণ্ঠের তিলাওয়াত শুনতেই থাকবে। তিনি কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন আজীবন। আল্লাহ তাঁর সকল নেক আমলকে কবুল করে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন।
এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন খেলাফত আন্দোলনের আমীর কামরাঙ্গীরচর মাদরাসার জামিয়া নূরিয়ার মোহতামিম ও খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমান, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, আমরা ঢাকাবাসীর সেক্রেটারী জামাল নাসের চৌধুরী, ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক শাহসুফী ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হান্নান আল হাদী, খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে রাব্বি মাসউদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।