Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এই ব্যাটা মাহি কে? তার সঙ্গে ছবি তুলিস? তোকে ফিনিশ করে দিবো : এমপি ফারুক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১:৩৪ পিএম

রাজশাহীতে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে অভিনেত্রী মাহির সঙ্গে ছবি তোলায় দেখা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটার ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা। চেয়ারম্যান সোহেল রানা জানান, গতকাল উপজেলা কৃষি অফিসের একটি অনুষ্ঠান ছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়রও মঞ্চে ছিলেন। অনুষ্ঠানে যান গোদাগাড়ীর নয়টি ইউপির চেয়ারম্যানও। তবে সংসদ সদস্য ফারুকের সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্ব থাকায় তিনি মঞ্চে ওঠেননি। দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে ফারুক তার সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।

এ সময় চেয়ারম্যানকে দেখেই এমপি বলেন, ‘এই ব্যাটা এইদিকে আয়। নায়িকা মাহি কে? তার সঙ্গে ছবি তুলিস? আমি তোকে দেখেই ছাড়ব। তোকে ফিনিশ করে দেওয়া হবে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি রাজশাহী-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে সম্প্রতি তিনি মাঠে নেমেছিলেন। এ নিয়ে এলাকায় নানা অনুষ্ঠান করেন। পোস্টারও সাঁটিয়েছিলেন। এই আসনেরই এমপি ফারুক চৌধুরী। সম্প্রতি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও চেয়ারম্যান সোহেল রানা ঢাকায় ছিলেন। সেখানে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তাদের দেখা হয়। সোহেল রানা নায়িকা মাহির সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। নায়িকা মাহির সঙ্গে চেয়ারম্যান সোহেল রানার ছবি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এমপি ফারুক চৌধুরী বলে জানা যায়।

চেয়ারম্যানের অভিযোগ, রাজশাহী মহানগরীতে সংসদ সদস্য ফারুকের মালিকানাধীন থিম ওমর প্লাজায় তার রেজিস্ট্রি করা ফ্ল্যাট হলেও সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি সেখানে ভয়ে যেতে পারেন না। থিম ওমর প্লাজায় তিনি একটি দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন। সেই দোকান ছেড়ে দিলেও জামানতের সাড়ে তিন লাখ টাকা ফেরত পাননি।

সোহেল রানাকে হুমকি ও গালিগালাজের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী গষ মাধ্যমকে বলেন, ‘ও একটা মাদক ব্যবসায়ী। তার বাবাও হেরোইন নিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে। সে আমার কাছে আসছিল। আমি তাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছি। এটি কি আমার অপরাধ? এর বেশি কিছু ঘটনা আসলে সেখানে ঘটেনি। ফিনিশ শব্দটিও আমি বলি নি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ