এমজিএইচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী,ইস্টার্ন ব্যাংকের পরিচালক আনিস আহমেদ গোর্কীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করেন সংস্থার উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান সংস্থার সচিব মো: মাহবুব হোসেন। আনিস আহমেদ গোর্কী বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘বন্ধু’ এবং ‘বিএনপিকে অর্থের যোগানদাতা’ হিসেবে পরিচিত।

দুদক সচিব জানান, আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি ২০০৮-২০০৯ হতে ২০২১-২০২২ করবর্ষে আয়ের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে ২০২০-২১ করবর্ষে ১৩৬ কোটি ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা আয় করেছেন। আনিস আহমেদ একজন নিয়মিত আয়কর দাতা। কিন্তু উল্লিখিত মোট আয়ের মধ্যে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর নথিতে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৯এএএএএ ধারায় ১৩৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হিসেবে প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু আনিস আহমেদ বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শিত সেই অর্থের সপক্ষে সন্তোষজনক রেকর্ডপত্র ও তথ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। অর্থাৎ তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। এ কারণে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এমজিএইচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আনিস আহমেদ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক। জাহাজে পণ্য পরিবহন, খুচরা বিপণন, এয়ারলাইন্স রিজার্ভেশন, রিয়েল এস্টেট, পোশক, চা ও রাবার প্লান্টেশন, অটোমোবাইল, ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা রয়েছে তার। এর আগে গত ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আনিস আহমেদ গোর্কিকে ‘অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের’ অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন।