বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো: আমিনুল হককে জিম্মি করে মালিকানাধীন জমির দলিলপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন পূর্বাচল উপ-শহরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গত ২৪ ডিসেম্বর রূপগঞ্জ থানায় মামলা [নং-৪৯(১২) ২২] করেছেন এই আইনজীবী।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অ্যাডভোকেট আমিনুল হক পূর্বাচল উপশহরের সেক্টর নং-৯, রোড নং-৪১৩, প্লট নং-১৯, কোড নং- ৫১৩৯৬ প্লটের ক্রয়সূত্রে মালিক। এটি বিক্রির উদ্দেশ্যে জমির দালাল মোঃ খোরশেদ আলম (৩৫), মো: সাইফুল ইসলাম (৪০),আলামিন (৩২) প্লটের কাগজপত্রের ফটোকপি নেন। প্লটের দাম-দস্তুর হওয়ার পর আসামিরা গত ১৭ ডিসেম্বর পূর্বাচল উপ-শহর প্রকল্পে মূল কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলেন। নির্ধারিত সময়ে তিনি নথিপত্র নিয়ে পূর্বাচল অফিসে হাজির হন। আসামিরা সঙ্গীয় আইনজীবী লুৎফুর রহমান, তার গাড়ীর ড্রাইভারকে অফিসে বসিয়ে রেখে কৌশলে ফাইলে রক্ষিত প্লটের সমুদয় মূল দলিল নিয়ে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সন্ধ্যার দিকে অ্যাডভোকেট আমিনুল হক ফাইলটি ফেরত চাইলে আসামিরা তাকে লাঞ্ছিত করে। তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। ভুক্তভোগী আইনজীবী জানান, মামলা দায়েরের পর ৫ দিন অতিক্রান্ত হলেও ফাইলটি উদ্ধার করতে পারেনি রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। অদ্যাবধি কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তবে ঘটনা অস্বীকার করে এজাহারভুক্ত আসামি খোরশেদ আলম বলেন, অ্যাডভোকেট আমিনুল হক প্লটের রেকর্ডপত্রের ফটোকপি দেখিয়ে আমাদের কাছে থেকে ১০ লাখ টাকা বায়না নিয়েছেন। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি একই প্লট তিনি ইতিমধ্যে আরেক জনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বায়নার টাকা ফেরত না দেয়ার উদ্দেশ্যেই তিনি এ মামলা করেছেন। বিষয়টি রূপগঞ্জ থানার ওসিও জানেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।