Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন বছরের শুরুতেই জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ রুটে চালু হবে ফেরি সার্ভিস

দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলার সাথে উত্তরবঙ্গের দূরত্ব হ্রাস পাবে দেড়শ কিলোমিটার

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:০২ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলার সাথে উত্তরবঙ্গের সড়ক পথের দূরত্ব প্রায় দেড়শ কিলোমিটার হ্রাসের লক্ষ্যে নতুন বছরের শুরুতেই জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌপথে বিআইডব্লিউটসি নিরাপদ ও নির্ভরশীল ফেরি সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় নৌ-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে ৩টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে পদ্মার দু পাড়ে যানবাহন পারাপার করবে বলে সংস্থাটির পরিচালক-বাণিজ্য আশিকুজ্জামান জানিয়েছেন। প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নৌপথে দিনরাত যানবাহন পারাপারের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

১ জানুয়ারী সকাল থেকে বিআইডব্লিউটসি’র কে-টাইপ ফেরি, ‘কদম, কুঞ্জলতা ও ক্যামেলিয়া’ এ রুটে যানবাহন পারাপার শুরু করবে। পরবর্তীতে চাহিদা অনুযায়ী অন্তত দুটি রো-রো ফেরি সহ অন্যান্য ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছে সংস্থাটির দায়িত্বশীল মহল।

জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ রুটে নির্ভরযোগ্য এ ফেরি সার্ভিসের ফলে বরিশাল বিভাগ ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ১১টি জেলার সাথে সমগ্র উত্তরবঙ্গে সবগুলো জেলার সাথে সড়ক পথে দূরত্ব ১২০ থেকে দেড়শ কিলোমিটার পর্যন্ত হ্রাস পাবে। ইতোপূর্বে সড়ক অধিদপ্তরের ফেরি বিভাগের দীর্ঘ দিনের পুরনো দুটি ইউটিলিটি ফেরির সাহায্যে এ রুটে যানবাহন পারাপার করা হলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রায়শই তা বন্ধ থাকত। এমনকি ইতোপূর্বে একনাগাড়ে ৬ মাসের অধিক সময় এ রুটে ফেরি সার্ভিস বন্ধ ছিল। পাশাপাশি নাব্যতা সংকটের কারণেও ফেরি পারাপার নির্বিঘ্ন ছিল না।

এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ২০০৬ সালে এক আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভায় এ রুটে বিআইডব্লিউটিসি’র ফেরি সার্ভিস প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু ফেরি সংকট সহ নানা কারণে সংস্থাটির দায়িত্বশীল মহল এতদিন বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি।

তবে গত ২৭ জুন থেকে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ায় সংস্থাটির মাওয়া সেক্টরে ফেরি চলাচল সম্পর্ণই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেখানের ১৮টি ফেরি অব্যবহৃত পড়ে আছে। ফলে দীর্ঘদিন পরে হলেও সংস্থাটি একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ১ জানুয়ারী থেকে জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ রুটে ফেরি সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে।

তবে এ রুটে যানবাহন পারাপারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সড়ক অধিদপ্তরের ফেরি ভাড়ার প্রায় দ্বিগুণ। বিষয়টি নিয়ে যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই কিছুটা বিরূপ মনোভাব পোষণ করে, ‘একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুধু বাণিজ্যিক মনোভাব নয়, কিছুটা জনসেবার মানসিকতা নিয়েও ভাড়া নির্ধারণ’এর দাবী জানান হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ