Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনের সামনে সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে আনন্দ র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন ডরমেটরি ভবনের সামনে অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে শেষ হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি। ৩০ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অত্যন্ত সফলভাবে তারা সারাদেশের অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নসহ শিক্ষাপ্রশাসন পরিচালনা করছে। যদিও এই কাজ অত্যন্ত কঠিন এবং চ্যালেঞ্জের। দেশের ২ হাজার ২৫৭টি কলেজের শিক্ষাব্যবস্থাপনা, পরিচালনা পর্ষদ গঠন, মান উন্নয়নসহ নানাবিধ কাজ জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়কে সামলাতে হয়। তবে আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। কারণ এসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি সৃষ্টি হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষতাভিত্তিক কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য অনেক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়। আশা করছি উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে এসব নব নব উদ্যোগ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আগে শিক্ষাখাতকে স্মার্ট করতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য উচ্চশিক্ষার বড় ভূমিকা রয়েছে। এই উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের।
সভাপতির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পার করছে। মূলত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে গঠিত কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের আলোকে প্রতিষ্ঠিত হয় এই জাতীয় প্রতিষ্ঠান। মানচিত্রসম বিস্তৃতিকে ধারণ করে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় তার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২ হাজার ২৫৭টি কলেজে যেসব শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নরত আমরা চাই তাদের জীবন-যাত্রায় নতুন চিন্তা, সৃজনশীলতা এমনভাবে আছরে পড়ুক যাতে করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত আধুনিক স্মার্ট নাগরিক হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারে। বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারা যেন যোগ্য নাগরিক হয়। আমাদের সন্তানেরা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তান। কিন্তু তাদের মধ্যে যে অদম্য আগ্রহ, কাজ করার যে স্পৃহা, শিক্ষাগ্রহণের যে চেষ্টা সেটি অদম্য। দেশের প্রথিতযশা এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, আমরা জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়কে সত্যিকার অর্থেই একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। সেকারণেই আমরা অ্যাকাডেমিক মাস্টার প্লান তৈরি করেছি। ইতোমধ্যে ১২টি পিজিডি কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৯টি শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছি। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অনার্স ১ম বর্ষে আইসিটি এবং তৃতীয় বর্ষে সফ্ট স্কিল অবশ্যপাঠ্য হিসেবে চালু হবে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের চিন্তার জগতে, মননে, মানসে নতুন সমাজের স্বপ্ন বুনে দিতে চাই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি, শামসুন নাহার এমপি, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভিসিপ্রফেসর ড. নাছিমা বানু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ