বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফটিকছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী এসএসএফ পরিচয়ে বেড়াতে এসে চেতনানাশক মিষ্টি খাইয়ে দিয়ে দু'পরিবার থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে পালিয়েছে এক প্রতারক। ২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার সুয়াবিল ইউপির বারমাসিয়া গ্রামের বিজয় ডাক্তার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। চেতনানাশক মিষ্টির প্রতিক্রিয়ায় এ ঘটনায় ৫ ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে ফটিকছড়ির সুয়াবিল ইউপির দুর্লভ কান্তি চৌধুরী নামীয় ব্যক্তি ফটিকছড়ি থেকে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে রাঙ্গুনিয়ায় আত্মীয় বাড়ীতে যাবার পথে যাত্রী হয়ে সাথে বসেছিল আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক যুবক। যাত্রাপথে সে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী এসএসএফ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে মর্মে পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ আলোচনা জুড়িয়ে দুর্লভ কান্তির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। গাড়ীতে বসে একে অপরের ফোন নাম্বার নেয় এবং বাড়ীতে নিমন্ত্রণ জানায়। এরপর যে যার মতো চলে যায়। পরদিনই চেতনানাশক ঔষধ মেশানো মিষ্টি নিয়ে দুর্লভের বাড়ীতে এসে হাজির হয় ওই যুবক এবং সকালে খাগড়াছড়ির গুইমারা সেনানিবাসের অনুষ্ঠানে যোগদান করার কথা বলে রাতে ভুক্তভোগীর বাড়ীতে থাকার সুযোগ করে নেয় সে। এ ফাঁকে দুর্লভ চৌধুরীর পাশের ঘরেও মিষ্টি নিয়ে ঘুরে আসে যুবকটি। রাত্রে ভাতের পর মিষ্টি খেয়ে অতিথির সাথে খোশ-গল্প শেষে রাত ১টার দিকে দুর্লভ কান্তি ও পাশের ঘরের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। এ সুযোগে দুর্লভসহ দু'পরিবারের ৩টি মুঠোফোন, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুর্ধর্ষ প্রতারক। পরে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও পরিবার দু'টির সদস্যদের সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে দেখতে পায় তারা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে প্রতিবেশীরা।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, এ ঘটনায় দু'পরিবারের মৃত দ্বিজপদ চৌধুরীর স্ত্রী তুলসী চৌধুরী, হরিপদ চৌধুরীর ছেলে দুর্লভ কান্তি চৌধুরী, তার স্ত্রী গীতা রাণী, ছেলে সৌরভ চৌধুরী ও শ্যালিকা লহ্মী বিশ্বাস গুরুতর অসুস্থ হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, 'অপরিচিত কাউকে ঘরে ঢুকতে দেওয়া ঠিক হয়নি। এমন প্রতারণায় প্রত্যেকের সজাগ থাকা উচিত।'
এ ব্যাপারে ভূজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দীন ফারুকী বলেন, 'এক ব্যক্তির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ঘরে ঢুকে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের খবর পেয়েছি৷ তবে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।