কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। মামলা তুলে নিতে হুমকী ও গায়েবি মামলার আসামী করার ভয় দেখানো হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।

উপজেলা বিএনপির সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশে যাওয়ায় কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারন সম্পাক হেদায়েত হোসেনকে (৫২) বেধরক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর কুমিল্লার আদালতে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মুরাদনগর থানার ওসিকে এফআইআরভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগের লোকজন মামলার বাদি, স্বাক্ষীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। অন্যথায় মামলা দিয়ে হয়রানী ও গ্রেফতারের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এরিমধ্যে অনেকেই হামলা-মামলার ভয়ে এলাকায় থাকছে না। এদিক সেদিক পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, আগেও মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক গায়েবি মামলা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী এ সরকারের সময়ে উপজেলা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় ৭০টি মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক গায়েবি মামলা হয়েছে। উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হেদায়েতকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে। বিজ্ঞ আদালত আমাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে এবিষয়ে অভিযোগটি মামলা হিসেবে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে। আর এ মামলা হওয়াতে আওয়ামী লীগের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে ন্যায়বিচারের পথ বন্ধ করতে চাইছে। তাদের হুমকি ধমকিতে এলাকায় থাকতে পারছে না বিএনপির লোকজন।