প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য ঘিরে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। বলিউডের এই জনপ্রিয় নায়ক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। তবে কুপার হাসপাতালের মর্গের এক কর্মীর দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হাসপাতালেই সুশান্তের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। রূপকুমার শাহ নামে মর্গের ওই কর্মীর দাবি, সুশান্তের দেহ ও গলায় একাধিক ক্ষতের দাগ ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সেকথা তিনি জানিয়েও ছিলেন বলে দাবি তার। তখন কর্তৃপক্ষ তাকে ‘নীতি’ মেনে কাজের নির্দেশ দেন।
একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, ‘সুশান্ত সিং রাজপুত যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন আমাদের কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মোট পাঁচটি দেহ এসেছিল। পাঁচটির মধ্যে একটি ছিল ভিআইপির। ময়নাতদন্তের কাজের সময় জানতে পারি তিনি সুশান্ত সিং রাজপুত। তার শরীরে একাধিক এবং গলায় দু-তিনটি দাগ ছিল। ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ড করার দরকার ছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শুধু দেহের ছবি তুলতে বলেন। তাদের নির্দেশ মেনেই কাজটা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন সুশান্তের দেহ প্রথমবার দেখি তখনই সিনিয়রদের বলি, আমার মনে হয় এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। খুন হয়েছেন তিনি। আমি এ-ও বলি, নিয়ম মেনেই আমাদের কাজ করা উচিত। যদিও সিনিয়ররা আমায় যত দ্রুত সম্ভব দেহের ছবি তুলে পুলিশের হাতে দেহ দিয়ে দিতে বলেন। রাতেই আমরা সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলাম।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুনে মুম্বাইয়ের আবাসন থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছিল, আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত। যদিও তার পরিবার দাবি করে, খুন করা হয়েছিল অভিনেতাকে। মুম্বাই পুলিশের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এবং সিবিআই সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।