Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাজশাহী অঞ্চলে শীত জেঁকে বসছে ধীরে ধীরে

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:৫০ পিএম

রাজশাহী অঞ্চলে শীত জেঁকে বসছে ধীরে ধীরে। তাপমাত্রার কাটা দুয়ের ঘরে ওঠানামা করলেও উত্তর থেকে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া কাঁপাচ্ছে মানুষকে। এরমধ্যে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের এক পশলাবৃষ্টি আর গাঢ় কুয়াশায় জনজীবন ছিল বিপযস্ত। সকাল দশটার আগ পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কুয়াশার আস্তরন থেকে গুড়ি গুড়ি করছিল শিশির। বিশেষ করে গাঢ় কুয়াশার কারনে কাছের কিছু দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল না। যানবাহন গুলো চলছিল হেডলাইট জ্বালিয়ে। শ্রমজীবী মানুষ পেটের টানে জুবুথুবু হয়ে ছুটেন নিজ নিজ কর্মের স্থলে। বিশেষ করে শ্রমজীবীরা ভীড় জমান শ্রম বিক্রির হাটগুলোয়। তাদের কাজে নেবার জন্য লোকের অভাব ছিল। অনেকে কাজ না পেয়ে ঘরে ফিরেন খালি হাতে। এর মানে অনাহার অর্দ্ধহার। আবহাওয়া অফিস বলছে রাজশাহী অঞ্চলে শীত ধীরে ধীরে আসছে। তবে সপ্তাহ খানেক পরে শৈত্যপ্রবাহ আসছে যা মৃদু থেকে ভারী হতে পারে। সে সময় মানুষ অনুভব করবে শীতের তীব্রতা।
শীত নিয়ে বিলাসীদের কোন চিন্তা না থাকলেও সাধারন মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে। ফুটপাতের দোকান গুলোয় এদের ভীড় বাড়ছে। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারছেন না। সেখানেও দামের উত্তাপ। ক্রেতাদের কথা প্যাটে খাব না কাপড় কিনবো। কিছুতে তাল মিলাতে পারছিনা। এবার এখন পর্যন্ত কোন সংগঠনকে শীতার্ত মানুষের পাশে দেখা যায়নি। আর গ্রামের মানুষতো শীত বস্ত্র বিতরনকারীদের নাগালের বাইরে থাকেন সব সময়।
এদিকে শীত জাঁকিয়ে বসছে। আমন ধানও উঠে গেছে। আমন মওসুম মানে পিঠা পুলির দিন। কিন্তু এবার তেমনটি লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। পিঠে পুলির অনুসঙ্গ চাল, আটা, গুড়, তেল, নারিকেল সবকিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া। ফলে শীতের খাবার সাধ জাগলেও সাধ্যে কুলাচ্ছেনা। শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাপাপিঠে, ভাজাপিঠে ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে। মধ্যবিত্ত মানুষ এখান থেকে এসব কিনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত স্বাদ নেবার চেষ্টা করছেন। শীতের সকালে খেজুরের রসের সাথে মুড়ি প্রিয় খাবার হলেও সেটিও এখন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। দিন দিন খেজুরের গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ইটভাটার জন্য নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে খেজুর গাছ। ফলে রসের সরবরাহ কমেছে। কলসে ভরে রস বিক্রি করা হলেও তাতে যে পানির মিশ্রন নেই তা বলা মুস্কিল। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ