Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আমরা নিজের স্বার্থে যা বলা দরকার তাই বলি : রিটার্নিং কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:৫৬ পিএম

রংপুর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেছেন, জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ইভিএমে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা জাতির জন্য দুঃখজনক। কেননা আমরা এখনও সত্যকে সত্য বলতে পারি না, নিজের স্বার্থে যা বলা দরকার তাই বলি।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, মোস্তফা ভোট দেওয়ার সময় কক্ষে শুধু একাই প্রবেশ করার কথা। কিন্তু তা না করে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করেছেন তিনি। সেই সময় গোপন কক্ষে একজন ভোটার ভোট দিচ্ছিলেন। তখন তাকে অপেক্ষা করতে বললেও তিনি ভোট দিতে আঙুলের ছাপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। যেহেতু একজন ভোট দিচ্ছেন সেই সময় অপর কেউ চেষ্টা টাইম লাগবে এটাই স্বাভাবিক। অথচ তিনি সময় না নিয়ে বাইরে এসে সাংবাদিকদের ইভিএম নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিলেন। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা তার কাছে এটা আশা করিনি। এটা জাতির জন্য দুঃখজনক। তিনি ইভিএম ও এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যেই এমন করলেন কি না জানি না।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, আমরা রাজনীতি করি না, চাকরি করি।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগর এলাকায় মোট ২২৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট শুরু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট চলবে। সবগুলো কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। সকালে ভোট শুরু সময় ভোটারদের কেন্দ্রে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি প্রার্থীদের সমর্থকদের ব্যাজ পরা লোকদের কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হতে দেখা গেছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো উপস্থিতি দেখা গেছে।

এবার রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন। ২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৯জন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি মোবাইল ফোর্স মোতায়েন আছে। এছাড়া প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স একই সঙ্গে প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে র‌্যাবের টিম থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র‌্যাব/পুলিশের টিম আর গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই/এএসআই ও তিনজন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (৪ জন মহিলা ও ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৯ জন। তবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও স্বতন্ত্র হাতি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ