Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নজরদারি বাড়াতে দেশের ১০ সিটিতে বসছে ১৪৫০ ক্যামেরা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:৫৪ এএম

আগামী নির্বাচনে সহিংসতা রোধ, ছিনতাই রোধসহ নানা ধরনের নজরদারি বাড়াতে পুলিশের উদ্যোগে দেশের ১০টি সিটি করপোরেশন এলাকায় বসানো হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। পুলিশের টেলিকম অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্যোগে এই ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এই ক্যামেরাগুলো স্ব-স্ব মহানগরীর সেন্টাল ডেস্কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। বিশেষ করে ক্যামেরাগুলো মহানগরীর প্রবেশপথে বেশি করে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে করে যেকোনো যানবাহনের প্লেটের নম্বর ও ব্যক্তির চেহারা দ্রুত শনাক্ত করা যায় এবং স্পষ্ট বোঝা যায়। এ ছাড়াও ১০টি শহরের মূল পয়েন্ট, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সংগঠনের আশপাশে লাগানো হবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাদে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, খুলনা সিটি করপোরেশন, সিলেট সিটি করপোরেশন, বরিশাল বিভাগ, রংপুর সিটি করপোরেশন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে এই ক্যামেরাগুলো লাগানো হবে। লাগানো ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ দেখে তাৎক্ষণিক সেন্ট্রাল ডেস্কের কর্মকর্তারা থানা ও টহল পুলিশকে অবহিত করবেন। পরে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, ‘মহানগর এলাকায় প্রায় ২০০ শতাধিকেরও বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। মূল সড়কের কাজ চলার কারণে সেখানে কম লাগানো রয়েছে। তিনি আরও জানান, নগরের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন আছে।
আরও বেশি ক্যামেরা লাগানো হবে।’ রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক জানান, গোটা শহর এলাকায় ৫৩০টি ক্যামেরা লাগানো আছে। সেই ক্যামেরাগুলো শহরের সেন্ট্রাল ডেস্কের সঙ্গে সংযোগ আছে। প্রয়োজনে আরও ক্যামেরা লাগানো হবে।
পুলিশের টেলিকম অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে সরগরম হচ্ছে দেশের প্রেক্ষাপট। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষা ও সুরক্ষা দেয়া বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলোকে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও যেসব ক্যামেরাগুলো পুরোপুরো অচল রয়েছে এবং যেগুলোতে আবছা ছবি আসে সেগুলো সারানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
সূত্র জানায়, ১০ মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। ক্যামেরার পাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে যাতে রাতের বেলায় কোনো লোক হেঁটে গেলে তাকে সহজেই শনাক্ত করা যায়।
সূত্র জানায়, রাজশাহীর প্রবেশদ্বার কাঁটাখালী, শিরোইল, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, রেলগেট, নিউ মার্কেট এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণের ক্যামেরা লাগানো হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রবেশদ্বার নাওজোড় ও টঙ্গিতে পর্যাপ্ত পরিমাণের ক্যামেরা লাগানো হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রবেশদ্বার সাইনবোর্ড এলাকা, নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা সড়ক, ধনুহাজী রোড, শহরের ২ নম্বর গেট, রেলী বাগান এলাকায় বসানো হবে ক্যামেরা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ পাহাড়তলী, উত্তর ও দক্ষিণ পতেঙ্গা হালিশহর, আন্দরকিল্লা, উত্তর আগ্রাবাদ ও পূর্ব ষোলশহর এলাকায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। বিশেষ করে আন্দরকিল্লা ও উত্তর আগ্রাবাদ এলাকায় বেশি করে ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভিক্টোরিয়া কলেজ বজ্রপুর দক্ষিণ চর্থা, কোটবাড়ির মূল সড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রাঙ্ক রোড, গোধির পুকুরপাড় এলাকায় লাগানো হবে ক্যামেরা। খুলনা সিটি করপোরেশনের আড়ংহাটা, হরিণটানা ও সোনাডাঙ্গার মূল সড়কে লাগানো হবে সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়াও খুলনা কলেজের মূল সড়কে সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
সিলেট সিটি করপোরেশনের বিমানবন্দর রোড, কোতোয়ালি বাজার রোড ও জালালাবাদের সড়কে লাগানো হবে সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়াও বরিশাল সিটি করপোরেশনের অশ্বিনীকুমার টাউন হল, ভাটিখানা, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় লাগানো হবে সিসি ক্যামেরা। এসব এলাকায় একাধিক ক্যামেরা থাকলেও অনেক ক্যামেরা অচল রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ জোনে পুলিশের উদ্যোগে লাগানো হবে সিসি ক্যামেরা।
সূত্র জানায়, শহরের যেসব এলাকায় পুলিশের উদ্যোগে লাগানো সিসি ক্যামেরা কাজ করছে না সেগুলোকে মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুত মেরামত করে সেগুলো আবার সেখানে প্রতিস্থাপন করা হবে। আর যেগুলো একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে সেটি বাদ দিয়ে নতুন ক্যামেরা লাগানো হবে। পুলিশ বলছে, নতুন করে ক্যামেরা লাগালে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত ও জটিল ঘটনার রহস্য দ্রুতই উন্মোচন হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ