Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লেনদেন নামলো ২০০ কোটি টাকার নিচে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাপক লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। গতকাল সোমবার মাত্র ২৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৩৭টির। যার ধাক্কা লেগেছে সূচকেও। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর আগে লেনদেনের এমন শোচনীয় অবস্থা হয়েছিল ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর সময়ে। পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, করোনার বছর ২০২০ সালের ৭ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ২ বছর ৫ মাস ২০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে এ বাজারে। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি টাকা। অথচ গত বুধবার লেনদেন খরা কাটিয়ে উঠতে পুঁজিবাজার থেকে স্বল্প মূলধনী ১৬৮টি কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কিন্তুফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর বাজার উল্টো আচরণ করছে। লেনদেন বৃদ্ধির পরিবর্তে আরো কমছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার আগের দু’দিন যথাক্রমে লেনদেন হয়েছিল ৩২২ কোটি এবং ৪৫৬ কোটি টাকা। আর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার ঘোষণার পর দু’দিন যথাক্রমে গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ২২৭ কোটি এবং গতকাল লেনদেন হয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা।
ডিএসইর তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবারের মতো গতকালও সূচক ওঠানামার মধ্যদিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু শেয়ার বিক্রির চাপে শেষ হয়েছে সূচক পতনে। ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৩ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৬টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ১৩৭টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তাতে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। তৃতীয় স্থানে ছিল ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং অ্যান্ড স্টেশনের শেয়ার। এর পরের শীর্ষ দশ কোম্পানির অবস্থানে ছিল যথাক্রমে ওরিয়ন ফার্মা, সি পার্ল, বসুন্ধরা পেপার, এডিএন টেলিকম, জেনেক্স ইনফোসেস, অ্যাডভেন্ট ফার্মা এবং মুন্নু অ্যাগ্রো অ্যান্ড জেনারেল লিমিটেডের শেয়ার।
অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে লেনদেন হওয়া ১৩৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির ও কমেছে ৪১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ