Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ক্ষতিকর পোকা ও ইঁদুরের আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

শাহ নেওয়াজ, রাঙাবালী (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বৈরী আবহাওয়া, চাষ উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি, ক্ষতিকর পোকা ও ইদুরের আক্রমন এবং উৎপাদন খরচের সাথে বাজার দরের সংগতি না থাকায় ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর আমন চাষিরা। মেলেনি চাহিদানুযায়ী ফলন। ধানের বাজার দরও নিম্নমুখী। ফলে কৃষক রক্ষায় ধানের বাজার দর বৃদ্ধিসহ মাঠপর্যায়ে সরাসরি ধান ক্রয়ের দাবি কৃষকদের।
মৌসুমের শুরুতেই অনাবৃষ্টিতে চাষ সঙ্কটে পড়ে পটুয়াখালীর প্রায় ২ লাখ হেক্টর আমন চাষের জমি। মৌসুমের শেষ সময়েও পড়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ক্ষতিকর পোকা ও ইদুরের আক্রমনে। চাষ উপকরণের উচ্চ বাজার দরের পরেও কৃষকের নিরন্তর শ্রমেও কাঙখিত ফলন এবং বাজার দর নিম্নমুখী থাকায় ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছে কয়েক হাজার আমন চাষি। এদিকে মাঠপর্যায়ে ধান ক্রয়ে রয়েছে নানান জটিলতা। মাঠপর্যায়ে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ে শর্ত কমিয়ে সকল কৃষকদের অগ্রাধীকার দেয়ার দাবি কৃষকদের। বাহেরচর গ্রামের কৃষক শহিদুল সিকদার বলেন, সরকারিভাবে ধান ক্রয়ে রয়েছে নানান রকমের জটিলতা। নির্ধারিত কৃষক ছাড়া অন্যদের ধান তারা ক্রয় করেন না। তাদের পছন্দ মতো কৃষক বাছাই করে। যার কারণে আমরা প্রকৃত কৃষকরা সরকারের এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
কাউখালী গ্রামের কৃষক তাজু দেওয়ান বলেন, এবছর হঠাৎ করে সার ওষুধ ডিজেলসহ সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে, যার কারণে অন্য বছরের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে দ্বিগুন। কিন্ত এখন ধানের বাজার খুবই খারাপ আমরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছিনা।
চরমোন্তাজের কৃষক জাহাঙ্গির বলেন, এবছর ফসলে হঠাৎ ইদুরসহ বিভিন্ন রকমের পোকার আক্রমন বেড়েছে। যার কারণে আমরা চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, এবছর মৌসুমের শুরুর দিকে অনাবৃষ্টি ও শেষের দিকে নানান রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে কৃষকের। তবে এতকিছুর পরেও উপকূলীয় এ জেলা আমন উৎপাদনে পূর্বের রেকর্ড ধরে রাখবে।
চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯২৩ হেক্টর জমির মধ্যে ৯০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ১ লাখ ৯ হাজার হেক্টর জমিতে উফশী ও ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে স্থানীয়জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। আর ধানের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ