Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ

ধোঁয়ায় চুনারুঘাটের পরিবেশের ক্ষতি

এস. এম. সুলতান খান, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

পরিবেশ নদী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা নিয়ে দেশে এত আইন আছে, সেসব কোনো কাজে আসে না বললেই চলে। নয়তো পরিবেশের এত ক্ষতি কেন, এত নদী ধ্বংস কেন, এত জীববৈচিত্র্য বিপন্নের মুখে কেন? প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এত অভিযান চালালেও সেসবের কোনো সুফল আদতে পাওয়া যায় না, তাহলে সেসব অভিযানে কী শুভঙ্করের ফাঁকি আছে? হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অবৈধভাবে ইটভাটায় পুড়ানো হচ্ছে বনাঞ্চলের কাঠ, প্লাস্টিক বর্জ্য ও গার্মেন্টসের জুট। ব্যবহার করা হচ্ছে চুঙ্গা, ধোঁয়ায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের ও জীববৈচিত্র্যের। পাহাড়ি ঘেঁষা এই উপজেলা কৃষি, বনায়ন, জীববৈচিত্র্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। ইটভাটার ধোঁয়ায় বনায়ন, জীববৈচিত্র্য ও কৃষিসহ জনমানুষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, গড়ে ওঠেছে অবৈধ ইটভাটা। এই উপজেলায় প্রায় ৩০/৩৫ ইটভাটা রয়েছে। অনেক ইটভাটায় নেই অনুমোদন, তবুও চলছে এসব ইটভাটা। এসব ইটভাটায় নজরদারী খবরদারী নিয়ে উচ্ছেদের যেন নমনীয়তা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের। এটা উপজেলাবাসীর জন্য খুবই দুঃখজনক। এমনই একটা ইটভাটা তানহা ব্রিকস ফিল্ডের নামে গত ২১ ডিসেম্বর তারিখে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার ৫ নম্বর শানখলা ইউপির চলিতারআব্দা গ্রামের বাসিন্দা মো. আশরাফুল আলম খোকন। তানহা ব্রিকস ফিল্ড ওই গ্রামেই অবস্থিত। এছাড়াও সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, এইসব ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হয় বনাঞ্চলের কাঠ, প্লাস্টিক বর্জ্য ও গার্মেন্টসের জুট। এতে পাহাড়ি বন ও সামাজিক বনায়ন উজাড়ের পাশাপাশি কৃষি জমি, ফলজ বৃক্ষ, জনমানুষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া উপজেলার সবকটি ইটভাটায় নজরদারী খবরদারী নিয়ে অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে চুঙ্গা ব্যবহার করে, বনাঞ্চলের কাঠ, প্লাস্টিক বর্জ্য ও গার্মেন্টসের জুট পড়ানো বন্ধ করে পরিবেশ ও জনমানুষের লাঘবের চিন্তা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এই বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, উপজেলা প্রশাসন এই বিষয়ে তৎপর হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে হুশিয়ারী ও বিভিন্ন দন্ডে দন্ডিত করা হচ্ছে। যথা শীঘ্রই সবকটি ইটভাটায় খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে ইটভাটায় কাঠ, প্লাস্টিক, গার্মেন্টসের জুট পুড়ানো কোনো অনুমতি নেই। আমরা অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ