Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুঁজিবাজারে এক বছরে সূচক কমেছে ৮ শতাংশের বেশি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাবমুক্ত ছিল না দেশের পুঁজিবাজারও। অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে এক বছরে পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে ৮ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত ‘উইকলি সিলেক্টেড ইকোনমিক ইনডিকেটরস’ প্রতিবেদনে গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
পতনের এই হারকে স্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষ্য, অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও যে পতন হয়েছে তা খুবই স্বাভাবিক। এর চেয়ে কিছু বেশি হলেও আপত্তি করা যেত না বলে জানান তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস আরোপের কারণে পুঁজিবাজারের স্বাভাবিকতা নষ্ট করা হয়েছে। যদি তা না করা হতো তাহলে সূচক হয়তো আরও কয়েক শ পয়েন্ট বেশি নিচে নামতো, কিন্তু বাজারের গতি শ্লথ হতো না। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এক বছর আগে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বরে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৭৫৭ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বরে এসে এর অবস্থান দাঁড়ায় ৬ হাজার ১৯৮ দশমিক ৮২ পয়েন্ট। অর্থাৎ এক বছরে সূচক কমেছে ৫৫৮ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে গত বছরের ২১ ডিসেম্বরে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকের অবস্থান ছিল ১৯ হাজার ৬৯০ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট, যা চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩০৮ দশমিক ১৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক বছরে সূচক কমেছে ১ হাজার ৩৮২ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
তবে গত ছয় মাসে পুঁজিবাজারে সূচক পতনের হার তার আগের ছয় মাসের তুলনায় কম। চলতি বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ডিএসইর সূচক কমেছে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ, আর সিএসইর সূচক কমেছে ২ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এর কারণ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পতন ঠেকাতে জুলায়ের শেষ দিকে এসে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ৩১ জুলাই থেকে ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পরে উত্থান দেখা দেয় পুঁজিবাজারে।
তবে এই উত্থান ভারসাম্যপূর্ণ ছিল না। ৭০ থেকে ৮০টির মতো শেয়ারের দরবৃদ্ধির ওপর ভর করে মাস দুয়েক সূচক বাড়তে থাকে। এগুলোর দর যেভাবে বেড়েছিল মাস দুয়েক পরেই সেই হারে কমতে থাকে। এক পর্যায়ের সিংহভাগ শেয়ার নেমে আসে ফ্লোর প্রাইসে। এই দরে লাখ লাখ শেয়ারের বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা সঙ্কটে ভুগতে থাকে পুঁজিবাজার।
সেপ্টেম্বরে তিন হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি চলে যাওয়া লেনদেন ডিসেম্বরে এসে নিয়মিতভাবে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে ওঠানামা করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ