রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টাংগাইলের সখিপুরে বন ও পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে অবাধে ফসলী জমির মাটি, বনভুমি উজারসহ লাল মাটির টিলা কাটার উৎসব চলছে।
প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একটি চক্র দেদারসে মাটি কেটে বিক্রি করছে। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা আদায় করলেও তা আমলে নিচ্ছে না মাটি ব্যবসায়ীরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আইন অমান্য করে ভেকু দিয়ে ফসলী জমির টপসয়েল ও লাল মাটির টিলা কাটা হচ্ছে। উজার করা হচ্ছে শাল গজারি বন। মাটিগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটাসহ বাড়ি নির্মাণ কাজে।
উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নে পলাশতলী কলেজের পাশে একটি ও বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদে কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে একটি, মোট দুইটি অবৈধ ইট ভাটা তৈরি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে ট্রাক দিয়ে এসব ভাটায় ইট প্রস্তুতের জন্য মাটি জমা করা হচ্ছে। পৌর শহরের আনাচে কানাচের বাড়ি তৈরি করার কাজেও মাটি নেওয়া হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা এক শ্রেনীর দালাল দিয়ে সাধারণ কৃষককে লোভে ফেলে ফসলী জমির মাটিতে পুকুর খনন, বনজঙ্গল উজার করে লাল মাটির টিলা কেটে বিক্রির কাজে উৎসাহিত করছে। আর কৃষকরা সামান্য কিছু নগদ টাকার আশায় ৮/১০ ফুট গভীর করে মাটি বিক্রি করছে। ফলে অনেক জমিই ডোবায় পরিনত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর শত শত একর ফসলী জমির মাটি, বনভূমি উজারসহ লাল মাটির পাহাড় কাটা হচ্ছে। যার কারণে আবাদী জমির পরিমান হ্রাস পাচ্ছে। ফলে কৃষি উৎপাদন ও জীববৈচিত্র মারাত্মক হুমকিতে টিলার মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে বাড়ি নির্মাণ ডোবা ভরাট, রাস্তা সংস্কার, রাস্তা নির্মাণ, বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, ইটভাটাসহ বিভিন্ন কাজে। অনেকে আবার অনুমতি ছাড়াই পুকুর কাটার কথা বলে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। শুধু দিনের আলোয় নয় রাতের আঁধারেও চলে লাল মাটির টিলা/ঢালা কাটা। প্রশাসনের নজর বেশি থাকলে মাটি ব্যবসায়ীরা রাতের সময়কে উত্তম সময় হিসেবে বেছে নেয়। টাংগাইলের সখিপুরে ১টি পৌরসভা ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। কাঁকড়াজান, বহেড়াতৈল, কালিয়া, গজারিয়া, বহুরিয়া, দাড়িয়াপুর, যাদবপুর, হাতীবান্ধা, বড়চওনা, হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নে বনভূমি উজারসহ বড় বড় লাল মাটির টিলা রাতের আঁধারে কেটে সাবার করা হয়েছে।
অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকার বা আধা সরকারি বা স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা নিষিদ্ধ। অথচ উপজেলার সখিপুরে গড় গোবিন্দপুর, সিলিমপুর ও দাড়িয়াপুর লাল মাটির জন্য বিখ্যাত। আর সেই লাল মাটির টিলা/চালা কেটে সমতল করে দিচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা।
সখিপুর পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্র পুরাতন ভোট অফিসের সামনে মাটি ব্যবসায়ীদের সংগঠনসহ অফিস রয়েছে। সেই সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের ইশারায় মাটি কাটার পরিকল্পনা করা হয়। মাটি ব্যবসায়ীদের হাত অনেক শক্তিশালি, তাই কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলম বলেন, আমার স্পেশাল পাওয়ারে সিলিমপুরে মাটি কাটার অনুমতি দিয়েছি। কেউ মাটি কাটা বন্ধ করতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।