রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এসে এক তরুণী (২৬) নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে গত শনিবার বিকেলে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের শাখায়েত হোসেনের ছেলে মাহাবুব আলম আলমীর›র (৩২) সঙ্গে বিয়ের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তার বাড়িতে অবস্থান করেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সায়েমখোলা গ্রামের ওই তরুণী (২৬)। এ সময় তাকে আলমীর, তার বাবা-মা, বোন ও ভগ্নিপতি মিলে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এতে তিনি আহত হলে স্থানীয়দের সহায়তায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে গত শনিবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। অভিযুক্ত প্রেমিক আলমীর বর্তমানে এনএসআই-এর ভোলা কার্যালয়ে কর্মরত আছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বোন স্বপরিবারে ঢাকায় বসবাস করেন। ২০১১ সালে সে বোনের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পথে বাসে মাহাবুব আলম আলমীরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হয় এবং পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তাদের প্রেমের সম্পর্ক গভীর হলে সে প্রায় সময়ই প্রেমিক আলমীরকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে আলমীর তাকে বিবাহ করার কথা বলে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয় এবং বলে পরবর্তীতে উভয় পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে যাবে। এরপর দীর্ঘ ১১/১২ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। এর মধ্যে ২০২০ সালে এনএসআইতে কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে চাকরি পায় আলমীর। এরপর থেকে হঠাৎ ওই তরুণীর সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে। পরবর্তীতে একাধিকবার তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পেয়ে বাড়ীর ঠিকানা সংগ্রহ করে আলমীরের বাড়িতে চলে আসে ওই তরুণী। তখন স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করে এবং পরবর্তীতে উভয় পক্ষের লোকজনের সম্পত্তিক্রমে তাদেরকে বিবাহ দিবে বলে আস্বস্ত করলে তরুণী নিজ বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে আলমীর›র পক্ষ থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত ওই তরুণীর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেনি। ঘটনার ২/৩ দিন পূর্বে আলমিরের ভগ্নিপতি বাদশা ওই তরুণীকে ফোন করে বলে আলমীর ২/৩ দিনের মধ্যে বিয়ে করবে। এই খবর পেয়ে গত ২২ ডিসেম্বর আবারও আলমীরের বাড়িতে আসে ওই তরুণী। তখন তাকে দেখে আলমীর ও তার পরিবারের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে সে ঘরে উঠতে গেলে তারা তাকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির সামনে রাস্তায় নিয়ে এসে লাঠি দিয়া এবং এলোপাথারীভাবে কিল-ঘুষি মেরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এ সময় তারা আবারও তাদের বাড়িতে আসলে তাকে খুন করিয়া লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেন।
নির্যাতিত ওই তরুণী বলেন, ১১/১২ বছর ধরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নানাভাবে ব্যবহার করে আসছিলেন আলমীর। এমনকি সে আমাকে নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করেছে। আজ আমি নিরুপায় অথচ আমাকে স্বীকার না করে উল্টো নির্যাতন করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে মাহাবুব আলম আলমীর কে মুঠোফোনে কল করে জিজ্ঞেস করলে তিনি প্রশ্ন শুনে কোন উত্তর না দিয়েই লাইনটি কেটে দেন।
আলমীরের বাবা সাখায়েত হোসেন বলেন, আমার ঘরে কোন মেয়ে আসেনি এবং আমরা কাউকে মারধর করিনি।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।