Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুগন্ধা ট্র্যাজেডির এক বছর পূর্ণ: কান্না থামেনি স্বজনহারাদের

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:৪৮ পিএম

ঝালকাঠিতে সুগন্ধা ট্র্যাজেডির এক বছর আজ। ভয়াবহ সেই লঞ্চের আগুনের স্মৃতি মনে করে এখনও শিউরে ওঠেন বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা। এখনো কান্না থামছে না স্বজনহারা মানুষের। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ হারিয়ে থমকে গেছে অনেকের জীবন। এদিকে, এখনও মেলেনি অনেকের ডিএনএ রিপোর্ট। আবার ডিএনএ শনাক্তের পরে অনেকে বুঝে পাননি স্বজনদের কবর ও ক্ষতিপূরণ। হতাহতদের বেশিরভাগই বরগুনার বাসিন্দা।

অগ্নিকান্ডের বিভীষিকাময় স্মৃতির স্বাক্ষী হয়ে আছে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াকুল গ্রাম। ২০২১ সালের ২৩শে নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে ৬ শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় অভিযান-১০ লঞ্চ। গভীর রাতে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর মোহনায় এলে ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয়ে পুরো লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একসময় ভাসতে ভাসতে দিয়াকুল এলাকার চরে আটকা পরে লঞ্চটি। ততক্ষণে অনেকেই পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। জীবন বাঁচাতে কেউ কেউ নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন । কুয়াশাচ্ছন্ন অথৈ নদীতে ভয়াবহ সেই রাতের কথা স্মরণ করে আজও শিউরে ওঠে নদীপাড়ের মানুষ।

ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মনির হোসেন নামের একজন ঝালকাঠি থানায় লঞ্চের মালিকসহ ৮ জনের নামে মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি নৌ- আদালতে হস্তান্তর করা হয়।

সুগন্ধ্যা ট্রাজেডিতে সর্বমোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ২৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অজ্ঞাত ২৪ মরদেহের মধ্যে ১৬ টি মরদেহের ডিএনএ সনাক্ত করা হয়েছে। এখনও ডিএনএ রিপোর্ট মেলেনি ৮ জনের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ