Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শীতে কাবু সুন্দরগঞ্জের জনজীবন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

গত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশা, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো শীত এবং হিমেল হাওয়ার কারণে কন কনে ঠান্ডায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো কাবু হয়ে পড়েছেন। পথ শিশু ও ফুটপাতের মানুষজন দিশা হারিয়ে ফেলেছে। গত বৃহস্পতিবার হতে সূর্যের আলো দেখা যায়নি দুপুর পর্যন্ত। সে কারণে স্থবির হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডার কারণে কর্মজীবি এবং শ্রর্মজীবি শ্রেণির মানুষজন যথানিয়মে কর্মস্থলে যেতে পারছে না। ঘন কুয়াশাযুক্ত আবহাওয়া কৃষক-কৃষাণীদের চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। ধান শুকানোসহ নানাবিধ কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। উপজেলার তারাপুর বেলকা, হরিপুর, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। শীতের কারণে নানাবিধ রোগব্যধির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রবি ফসল নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। আলুর আবাদ রয়েছে হুমকির মুখে। এছাড়া বোরো বীজতলায় সদ্য গজানো চারাগুলো শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে- ফিরে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, চরাঞ্চলের জমি-জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে খঁড় কুটো জ্বালিয়ে এমনকি কাঁথা গায়ে দিয়ে ঠান্ডা নিবারন করছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু এবং প্রসূতি মায়েরা অনেক কষ্টে রয়েছেন। শীতের কারণে ফুটপাতের পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভির দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অপরদিকে অধিক শীতের কারণে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। অবৈধভাবে পরিচালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারি চালিত অটোবাইক অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সরকারিভাবে যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৩৫০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো চাহিদা পাঠানো হয়েছে, বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ