Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গাজীপুরে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাঁধা, গ্রেফতার- ২০

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:১৬ পিএম

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুল, ডা. মাজহারুল আলম, ফরিদা ইয়াসমিন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানসহ বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা শনিবার বিকেল সোয়া ৩টায় রাজবাড়ী রোডস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আসেন। এসময় গাজীপুর জজকোর্টের সামনে রাজবাড়ী রোডের মোড়ে বিএনপির মিছিলে অংশ নিতে আসা একটি খন্ড মিছিলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস (টিআরসেল) নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বেশ কয়েক জন নেতাকর্মী আহত হন। পুলিশ পথচারীসহ ২৫/৩০ জন নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা- মো. জিয়াউল হাসান পুলিশের গাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের অপরাধে ২০ জনকে গ্রেফতার করার কথা শিকার করেছেন।

এর আগে দুপুর থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। একইসাথে জলকামান, সাঁজোয়া যান নিয়ে সাইরেন বাজিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টহল দিতে থাকে। এতে জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে দলীয় কার্যালয়মুখী হতে হয়নি।

দলীয় কার্যালয়ের চার পাশে পুলিশের কয়েক স্তরের বেষ্টনির ভেতর বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, পুলিশ আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনে সুযোগ দিলেও বিএনপিকে বাধা দিচ্ছে। পুলিশনির্ভর এ স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার রাষ্ট্রের সব কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি-লুটপাট করে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে। দেশের জনগণের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের কোনো অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নেই। যারা ‘দিন আনে দিন খায়’ তাদের জীবন উষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। সরকার সন্ত্রাস ও লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করে জনগণকে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। আমরা কারোর হাত রক্তে রঞ্চিত হতে দেব না। আমরা শান্তি চাই, জনগণের জীবনের নিরাপত্তা চাই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আবার ফিরিয়ে আনবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্ট্রার ড. ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ড. সহীদউজ্জামান, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান পেরা, শাহজাহান ফকির, আব্দুল মোতালেব, খালেকুজ্জামান বাবলু, আক্তারুল আলম মাস্টার, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী, সাধারণ সম্পাদক গুলনাহার, শেখ ফরিদা জাহান স্বপ্না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ