বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সর্বত্র এ বছরও বিভিন্ন জাতের প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজি উৎপাদন হয়েছে। আশানুরুপ ফলনে কৃষকদের মুখে হাসির আভা দেখা দিয়েছে। চলতি বছরে শীতের প্রারম্ভে রকমারি সবজির চাষ করেছেন উপজেলার কৃষকেরা। চট্টগ্রামের চন্দনাইশে কৃষকরা বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি তথা হরেক রকমের শীতকালীন সবজির রবি শস্য ও মৌসুমি ফল-মুল চাষের জন্য দক্ষিণ চট্টগ্রামে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে বলে অভিজ্ঞমহল জানিয়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রাম-গঞ্জের পল্লী এলাকায় ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কৃষকেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মৌসুমী ফসল তথা রকমারি শাক-সবজি উপাদনের প্রচেষ্ঠায় থাকেন। তাদের রোপন করা ফসল শাক-সবজি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশানুরুপ ফলন হয়। শীতকালীন শুষ্ক মৌসুমে নদী ও খালের পানি দিয়ে উপজেলার সর্বত্রে চাষাবাদ হত। শঙ্ক নদীর বিভিন্ন শাখা তথা বরুমতি খাল, গুইল্ল্যাছড়ি খালসহ উপজেলার ছোট ছোট খালে শীত মৌসুমে পানি না থাকায় কৃষকেরা আগের মতো চাষাবাদে সেচ দিতে পারে না।
এ অবস্থায় কৃষক মুস্তাফিজ জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিপ টিউবওয়েল বসানো হলে কৃষকদের সমস্যা লাঘব হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলার কৃষি অফিসার স্মৃতি রানী সরকার জানান, এবারের শীত মৌসুমে রকমারি সবজির উৎপাদনে ২০৪৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ জন্য কৃষকদেরকে সবসময় কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
অপরদিকে সব রকমের সারের দাম আগেরকার তুলনায় ২-৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কৃষকেরা জানান। কিছু কিছু কৃষক বর্গাচাষ করে তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। এবং সুদি অর্থে মহাজনদের কাছ থেকে শরণাপন্ন হয়ে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে উপজেলার প্রায় কৃষক তাদের কৃষিকাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। উপজেলার অধিকাংশ কৃষকের জীবিকা নির্বাহ করে তাদের কৃষি কাজের ওপর। এসব কৃষকেরা নানান সমস্যার আবর্তে ও তাদের কৃষিকাজের হাল ছাড়েনি।
অভিজ্ঞমহল জানান, চন্দনাইশে কৃষকদের উৎপাদিত রকমারি ফসল তথা শাক-সবজি দক্ষিণ চট্টগ্রাম হয়ে চট্টগ্রাম শহরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বিপুল পরিমাণে ট্রাকে ট্রাকে প্রতিদিন রপ্তানি করত। এ ব্যাপারে কয়েকজন কাচা তরিতরকারি ব্যবসায়ী জানান, চন্দনাইশ থেকে এসব রকমারি শাক-সবজি বিভিন্ন জেলা উপজেলা তথা চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহকারী যানবাহন খরচ বেশি পড়ে। ফলে তারা আয় ব্যয় পুষিয়ে আসতে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান। চট্টগ্রাম দোহাজারী রেললাইনে ছয়টি রেল আপডাউন করতো। এইসব রেলে করে তৎকালীন সময় এসব তরিতরকারী কম খরচে চট্টগ্রাম শহরসহ দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য নিয়ে যেত। প্রতিটি রেলে যাত্রী বগির সাথে থাকত মালবাহী বগি। এখন নামে মাত্র একটি ট্রেন আপ-ডাউন করছে যা ব্যবসায়ীদের কোন উপকারে আসছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।