Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

১৩শ’ শিক্ষার্থীর জন্য ১০ কক্ষ

হাটহাজারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রামে) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

শ্রেণি কক্ষ সঙ্কটে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের সম্মুখে শত বছরের পুরোনো বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন ও একতলা বিশিষ্ট ভবন রযেছে। এই বিদ্যালয়ে প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১১টি শ্রেনী কক্ষ, যার মধ্যে ১টি শিশুদের জন্য পাঠদান করা হয়। বাকি ১০টিতে ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেনীতে পাঠদান করা হয়। প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৩০-৪০জন ধারণ ক্ষমতা থাকলেও সেখানে ৬০-৭০জনের অধিক শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান করাতে হয়। তাই ২শিফটে গাদাগাদি করে বসে পাঠদান ও পরীক্ষা নিতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। শুধু মাত্র ৫ম শ্রেনীতেই রয়েছে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী। এছাড়াও প্রতিটি শ্রেনীতে ২শ’ অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

এছাড়াও মরার ওপর খারার গাঁ হয়ে চেপে বসেছে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার। এমনিতে বিদ্যালয়ে জায়গা ও শ্রেনীকক্ষ সল্পতা। এই ট্রেনিং সেন্টার এর কারণে জায়গা সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও মেধার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। পড়ালেখার মান ভাল হলেও অবকাঠামো উন্নয়ন তেমন হচ্ছে না। বিগত বছরগুলো জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সংখ্যা বেশি এবং পাস শতভাগ। এছাড়াও সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান এবং জেলা ও বিভাগেও প্রতি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে।

উপজেলা পরিষদের সম্মুখে হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ বেশি। গ্রীষ্মকালীন সময় গাদাগাদি করে বসার কারণে ভ্যাপসা পরিবেশ সৃস্টি হয়। কোমল মতি শিক্ষার্থীদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে। অনেকে টিফিন ছুটিতে বাড়িতে চলে গেলে আসতে চায় না।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. রাকিব জানান, শ্রেনীকক্ষ কম হওয়ার কারণে দুই শিফটে পাঠদান করাতে হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা জানিয়েছি নতুন ভবন নির্মাণে।
এছাড়া বিদ্যালয়ে ইউআরসি থাকার কারণে জায়গা সঙ্কুলন হচ্ছে না। তাই এই সেন্টারটি অনত্র সরিয়ে নিলে শিক্ষার পরিবেশ সৃস্টি হবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা আলম জানান, ছয় তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণে পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানে নতুন ভবন নির্মাণে প্রস্তাবনা না থাকায় আপাতত স্থগিত রয়েছে। উপজেলা রিসোর্স সেন্টার সরানো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিটি মডেল বিদ্যালয়ে ইউআরসি কার্যালয় বাধ্যতমূলক, তাই সরানো কোন সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম জানান, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ