Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুর-খাসেরহাট বন্দর সড়ক নির্মাণে অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম

ঠিকাদারের অনিয়ম ও গাফিলতিতে মাদারীপুরের খোয়াজপুর থেকে কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট বন্দরের সড়কের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে ৬৬% বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে, কর্তৃপক্ষ বলছে ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
মাদারীপুর এলজিইডি’র কার্যালয় থেকে জানা গেছে, রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের টেকেরহাট থেকে কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট বন্দর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজের উদ্যোগ নেয় মাদারীপুর এলজিইডি। যার অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ৩১ আগষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোহিনূর এন্টারপ্রাইজের সাথে ১৯ কোটি ৫২ লাখ খরচে রাস্তাটি নির্মাণের চুক্তি হয়। পরে ওই বছরেরই ১৫ অক্টোবর এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়। যা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজের চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সড়কটির প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ বাকী রয়ে গেছে। এদিকে সড়কটির নির্মাণ কাজে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খোয়াজপুরের টেকেরহাট থেকে খাসেরহাট সড়কের নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কটির কার্যাদেশ পাওয়ার পরেই দ্রুত গতিতে পুরো ১৭ কিলোমিটার সড়কে ইটের খোয়া বিছিয়ে দেয়। এবং সড়কটির খোয়াজপুর থেকে সূর্যমনি বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে বাকী ৭ কিলোমিটার পথ গত দুই বছর ধরে ফেলে রাখে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই সড়ক ব্যবহার করা চলাচলাকারী প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
সূর্যমনি গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটি ব্যবহার করে শুধু মাদারীপুর জেলায় নয়। আমাদের আরেক প্রতিবেশী জেলা শরীয়তপুরেও এখানের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। তাছাড়া ঢাকায় যায়। কিন্তু প্রায় দুই বছর ধরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি নির্মাণ কাজ না করে ইট সুরকি দিয়ে ফেলে রাখায় আমাদের চলাচলে খুব কষ্ট হয়। এছাড়া রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং রাস্তার দুইপাশে মাটির সুরক্ষা দেয়াল তৈরি না করেই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে চরম অনিয়ম হচ্ছে।
এই বিষয়টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের সাথে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মাদারীপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আশরাফ খান বলেন, রাস্তাটির নির্মাণ কাজের শেষ করার জন্য নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। আশা করছি, আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যেই সড়কটির পুরা কাজ শেষ হবে। তিনি আরো বলেন, রাস্তায় যাতে অনিয়ম করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
মাদারীপুর এলজিইডির হিসাব বিভাগ থেকে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিল প্রদান করা হয়েছে। যা কাজের অগ্রগতির চেয়ে অনেক বেশি বিল প্রদান করা হয়েছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ