Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বগুড়া জেলা স্কুলে শিক্ষক অভিভাবক হাতাহাতি

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ছাত্রদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়া নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের হাতাহাতি হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি একযোগে দেশের সব সরকারি বিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন বিকেল ৫ টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয় অনলাইনে ও স্কুলের নোটিশ বোর্ডে। এ সময় একই শিক্ষার্থীর নাম ভর্তি তালিকায় একাধিকবার পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আবেদন প্রক্রিয়ায় কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে একাধিকবার আবেদন করায় এমনটি ঘটে। এ নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্দেশ দেয় একাধিকবার আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেনা। ভর্তি প্রক্রিয়া পব চুড়ান্ত করতে বগুড়া জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীদের আবেদন ও কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই শুরু করে। এ সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবারেই ৫৪ শিক্ষার্থীর আবেদন বাতিলের তালিকা প্রকাশ করে। একাধিকবার আবেদন, আবেদনের সাথে জন্মনিবন্ধনের মিল না থাকা ও অনলাইন জন্মনিবন্ধন না থাকায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে সকাল গতকাল বুধবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে প্রায় ২০ জন নারী ও পুরুষ অভিভাবক স্কুলের প্রশাসনিক ভবনের দরজার ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে আসেন। এ সময় অভিভাবকরা শিক্ষদের ওপর চড়াও হয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। স্কুলের দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলম ও প্রভাতি শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ার ইসলাম হেনস্তার শিকার হন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া আল মুসা সাদাফ বলেন, কয়েকজন অভিভাবক সরাসরি স্যারদের ওপর আক্রমণ করে বসেন। এ সময় তারা হাতাহাতি শুরু করেল আমিসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অন্য স্যাররা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই অভিভাবকরা স্কুল থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর মুল দরজা লাগিয়ে দেই। একাধিকবার আবেদনে বাদ পড়া শিক্ষার্থীর অভিভাবক রেফাত আরা বলেন, আমি না বুঝেই দিবা ও প্রভাতি শাখার একবার করে দু›বার আবেদন করেছি। এজন্য আমার ছেলেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দিলে কেন তারা আবেদন একাধিকবার নিয়েছে। বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মোস্তাফী জানান, লটারিতে জালিয়াতি করায় মঙ্গলবার ৫৪ শিক্ষার্থীর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত আরও ৩ শিক্ষার্থীর আবেদন বাতিল করেছি। মাউশি নির্দেশে আমরা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। কিছু অভিভাবক এসে সকালের দিকে হট্টগোল শুরু করেন। তাদের নিয়ন্ত্রণে এনে মাউশির কাছে আবেদনের পরামর্শ দিয়েছি। বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম জানান, কিছু অভিভাবক হট্টগোল করেছিলেন। এরপর আমাদের সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখন কোন ঝামেলা নেই। বগুড়া জিলা স্কুল সূত্রে আরও জানা যায়, এ বছর তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১১ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী আবেদন করে। এরমধ্যে প্রভাতি ও দিবা শাখায় ২০৬ শিক্ষার্থী লটারিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়। তবে আবেদন প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি ও ত্রুটি থাকা শিক্ষার্থীদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেয় মাউশি। এজন্য প্রথম তালিকা থেকে সব আসন পূর্ণ হচ্ছে না। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে। ছবি, ঘটনার পর বগুড়া জেলা স্কুলে অভিভাবকদের ভীড়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ