Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কক্সবাজারে আইডিবির সহায়তায় নির্মিত ৬ ভবন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর

কক্সবাজার ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

চকরিয়া ও পেকুয়ার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন, সউদী আরবের সাথে আমাদের গভীর ধর্মীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। এই কারণে সউদী আরব সরকার বাংলাদেশের শিক্ষা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে চকরিয়া-পেকুয়াসহ কক্সবাজারে ৬টি আধুনিক ভবনের চাবি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এজন্য তিনি আইডিবিকে ধন্যবাদ জানান। গত সোমবার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভবন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের তত্বাবধানে মরহুম সউদী বাদশা আব্দুলাহ বিন আব্দুল আজিজের অনুদানে ২য় পর্বে নির্মিত কক্সবাজারে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার ৬টি স্কুল-মাদরাসা-সাইক্লোন শেল্টার ভবন সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। গত তিনদিনে কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর ও উখিয়ায় পৃথক অনুষ্ঠানে আইডিবি কর্মকর্তারা সংশিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এই ভবনগুলোর চাবি বুঝিয়ে দেন। এ উপলক্ষে গত রোববার কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর তঞ্চঙ্গা। এতে ১টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার ভবনের চাবি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গত সোমবার চকরিয়ায় দুইটি ভবন ও পেকুয়ায় একটি ভবন সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এইদিন সকালে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমার সভাপতিত্বে রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ ভবনটি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্থান্তর করা হয়। একই দিন দুপুরে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের কার্যালয়ে পৃথক এক সভার আয়োজন করা হয়। এখানে পালাকাটা দাখিল মাদরাসা ভবন ও চকরিয়া আনোয়ারুল উলুম কামিল (মাস্টার্স) মাদরাসা ভবনটি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়ার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম।
গত মঙ্গলবার উখিয়া ও কক্সবাজার সদরে ২টি ভবন যথাক্রমে উখিয়া রুমখাপালং আলিম মাদরাসা কাম-সাইক্লোন শেল্টার ও কক্সবাজার সদরের নাক্ষ্যংদিয়া এসটি দাখিল মাদরাসা কাম স্কুল-সাইক্লোন শেল্টার ভবনের চাবি সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তারন্তর করা হয়। এ উপলক্ষে সকালে উখিয়া উপজেলার রুমখাপালং ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার নতুন ভবনে সাবেক চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল শাহ আলমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এসময় আরো ছিলেন, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সালেহ আহমদ ও মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা মুহিব্বুলাহ।
একই দিন দুপুরে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকরিয়ার সভাপতিত্বে তারই কার্যালয়ে পৃথক এক সভার আয়োজন করা হয়। এই সভার কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুল আলম। এতে সদরের নাক্ষ্যংদিয়া এসটি দাখিল মাদরাসা কাম-স্কুল ও সাইক্লোন শেল্টার ভবনের চাবি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তারন্তর করা হয়। এসব অনুষ্ঠানগুলোতে অতিথি ছিলেন, বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শাখা-২ এর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপ-সচিব সেলিনা কাজী, বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক কর্মসূচি সমন্বয় অফিসের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর মো. আরিফ শহিদ, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ রেজাউল করিম, বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রামের সমন্বয়ক পল নরম্যান বার্ড প্রমুখ।
উল্ল্যেখ্য, এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বাদশা আবদুল্লাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ) তার মৃত্যুর আগে ১৩০ মিলিয়ন (১০ কোটি) মার্কিন ডলার দান করে ছিলেন। ইতোপূর্বে এই কর্মসূচির ১ম পর্বে বাংলাদেশে সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১৭২টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কর্মসূচির ২য় পর্বে ১৩টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টারের মধ্যে গত তিনদিনে কক্সবাজারে ৬টি ভবন অনুষ্ঠানিকভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অনুদানের দুটি অংশের মধ্যে রয়েছে, ১১০ মিলিয়ন (১১ কোটি) মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ। ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) মার্কিন ডলার ওয়াকফ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের কৃষিসহ অন্যান্য উদ্যোগে সহায়তা প্রদান করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ