বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের সব সাংগঠনিক জেলা-মহানগর শাখার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট কার্ড বিতরণ শুরু করেছে। দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল বুধবার শুরু হয় এ কার্ড বিতরণ।
কাউন্সিলর ও ডেলিগেট কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের সূচনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ। এ সময় ঢাকা মহানগরসহ অন্যান্য মহানগর ও বিভিন্ন জেলার বিপুল সংখ্যক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেবেন। সম্মেলনে ডেলিগেটের সংখ্যা ১ লাখের বেশি হতে পারে। জেলা/মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অথবা তাদের যৌথ সই করা চিঠিসহ মনোনীত প্রতিনিধি কাউন্সিলর, ডেলিগেট কার্ড সংগ্রহ করছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত মঞ্চ সাজসজ্জা উপকমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারাদেশ থেকে কাউন্সিলরা এসে উপস্থিত হবেন, সেই সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। এবারের সম্মেলনে নেতাকর্মী ও অতিথি মিলিয়ে লক্ষাধিক লোক অংশগ্রহণ করবেন।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো- ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রত্যয়’।
প্রতিবার দুই দিনব্যাপী সম্মেলন হলেও এবার কৃচ্ছ্রতাসাধনের জন্য একদিনে সম্পন্ন হবে। প্রথম অধিবেশনের পরে খাবার ও নামাজের বিরতি থাকবে। তারপরেই মূল অধিবেশন, কাউন্সিল অধিবেশন হবে। সম্মেলনের মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৮০ ফিট, প্রস্থ ৪৪ ফিট। সম্মেলনে প্রবেশের জন্য ৫টি গেট থাকবে। এরমধ্যে একটি ভিআইপি গেট, বাকি ৪টি কাউন্সিলরদের প্রবেশের জন্য। সকাল ৭টা থেকে কাউন্সিলর-ডেলিগেটদের প্রবেশের গেট খুলে দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি হচ্ছে সম্মেলনের মঞ্চ। এর মধ্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র থাকবে। পেছনে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি থাকবে। সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছবিও থাকবে। জাতীয় চার নেতার ছবির পাশাপাশি থাকবে সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শামসুল হক এবং মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের ছবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।