বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অনতিবিলম্বে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা রেলপথে প্রতিদিন সকাল ও বিকালে দুই জোড়া আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করাসহ ১৯ দফা দাবী সম্বলিত ময়মনসিংহের নানা সমস্যা নিরসনকল্পে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা নাগরিক আন্দোলন এই স্মারকলিপি প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমানের কাছে।
এ সময় যৌক্তিক দাবীগুলোর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক দাবী পূরণের জন্য সরকারের কাছে প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস প্রদান করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ সংগঠনটি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ অঞ্চলের নাগরিকদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানকল্পে নাগরিক আন্দোলন বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। জনআকাঙ্খা পূরণে নাগরিক আন্দোলনের সাফল্য অনেক। জাতীয়ভাবে উন্নয়নের অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চলের নাগরিকদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নাগরিকদের পক্ষে ১৯দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.এইচ.এম খালেকুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নূরুল আমিন কালামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিটি পাঠ করে শুনান জেলা নাগরিক আন্দোলনসহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিব্বির আহম্মেদ লিটন। এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ শামসুল আলম খান ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামসহ নাগরিক আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
জনআকাঙ্খা পূরণে নাগরিক আন্দোলনের দাবী গুলো হলো : বিভাগীয় ময়মনসিংহ শহরের প্রধান সমস্যা যানজট রাস্তা প্রশস্তকরণ ও অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ। যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া রেললাইনটি শহরের বাইরে স্থানান্তর করা। সমন্বিত ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য ‘ময়মনসিংহ বিভাগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠন। নগরীতে ভবন নির্মাণে যত্রতত্র ইট, বালু, রড, সিমেন্ট, কাঠসহ নির্মাণ সমাগ্রী রাস্তায় না রাখা এবং উন্মুক্ত বালুবাহী ট্রাক নগরে চলাচল বন্ধ করা। শহরের ভিতরে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ডসহ টেম্পু স্ট্যান্ড, অটোস্ট্যান্ড এবং আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড শহরের বাহিরে স্থানান্তর করা। জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পর্যন্ত ডুয়েল গেজ এবং ডাবল রেললাইন স্থাপন করা। পরিকল্পিত আধুনিক বিভাগীয় শহর প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা। বহুকাঙ্ক্ষিত বিমানবন্দর নির্মাণ নির্মাণ করা। শহরের ভিতর দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাস চলাচল বন্ধ করা। ব্রহ্মপুত্র নদের সীমানা চিহ্নিত করে দুই তীরের অবৈধ দলখদারদের উচ্ছেদ করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পরিকলিপতভাবে পূণ:খনন করা। জনস্বাস্থ্য হুমকীতে নিপতিত খাদ্য, ফল, মাছ, মাংস ও তরিতরকারিতে ভেজাল রোধে কার্যকরা ব্যবস্থা গ্রহন করা। নগরীতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সিএনজি, মাহিন্দ্রা, অটো রিক্সা স্ট্যান্ড বন্ধ করা। শহরে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা। শহরে দিনের বেলায় বাহিরের ট্রাক, বালুর ট্রাক ও অন্যান্য ভারী যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করা। শহরের ‘সাংস্কৃতিক পল্লী’ স্থাপন করা। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য শহরে একটি ‘ব্যবসায়ী জোন গড়ে তোলা। শহরকে সুশৃঙ্খল করতে এবং শহরের যানজন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। অবিলম্বে ময়মনসিংহে সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জোর দাবী জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।