বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পূর্ব সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১০ জেলেকে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান শুরু করেছেন পুলিশ। বাগেরহাটের রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা থানা পুলিশ এ অভিযান শুরু করেন। এদিকে, দস্যুদের কবল থেকে ৬ দিনেও উদ্ধার না হওয়ায় জেলেদের পরিবারে দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা। কান্নার রোল পড়েছে অপহৃতদের পরিবারে। সন্তানকে ফেরত পেলে আর কোনোদিন সুন্দরবনে পাঠাবেন না বলে জানান তারা।
মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান ও শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকরাম হোসেন জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে র্যাব ও কোষ্টগার্ডের পাশাপাশি গতকাল থেকে চার থানা থেকে পুলিশের পৃথক ৪টি টিম সুন্দরবনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। খুব শীগ্রই তাদের অভিযান সফল হবে বলে আশা করছেন তারা।
শরণখোলার দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, গতকাল সকালে দস্যুদের আস্তানা থেকে তার নৌকার এক জেলে মোবাইলে ফোন করে জানিয়েছেন দস্যুরা তাদের ওপর নির্যাতন করছে। মুক্তিপণের টাকা না পেলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরো জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের উদ্ধারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খালে জেলেবহরে হানা দিয়ে সশস্ত্র একটি দস্যুদল ১০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। জেলেপ্রতি ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। অপহৃত জেলেদের বাড়ি বাগেরহাট সদরের ডেমা, মোংলা ও রামপাল এলাকায়।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলা সদর দফতরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মামুনুর রহমান বলেন, এই মুহুর্তে সব তথ্য বলা যাবে না। তবে শিগগিরই একটা ভালো খবর দিতে পারবো। আমরা অনেকটা অগ্রসর হয়েছি। অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।